রাস্তা তৈরিতে বিশেষ বরাদ্দ
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। তার আগে শেষ রাজ্য বাজেট পেশ হল এদিন। বিধানসভায় নির্ধারিত সময় দুপুর দুটোয় বাজেট পেশ করেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সাধারণের ক্ষোভ প্রশমনে কোনও কসুর রাখেনি। সরকারি কর্মীদের ডিএ-এর পাশাপাশি ভোটের আগে গ্রাম বাংলার সড়ক উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা করল রাজ্য। গ্রামের রাস্তা নির্মাণ থেকে মেরামতিতে বরাদ্দ তিন হাজার কোটি টাকা।
কী এই রাস্তাশ্রী প্রকল্প?
২০২৩ সালে বিধানসভায় পেশ হওয়া রাজ্য বাজেটে ঘোষিত নয়া প্রকল্প রাস্তাশ্রী। সেই প্রকল্পে ১১ হাজার ৫০০ কিমি নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই প্রকল্পে নতুন রাস্তা তৈরি সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের পুরনো ভাঙা-চোরা রাস্তাগুলিও মেরামত করা হবে বলে জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্য সরকারের পথশ্রী প্রকল্পেও এই একই ধরনের কাজ হত বলে দাবি। সেই প্রকল্পকেই নয়া মোড়কে পেশ করা হল বলে আক্রমণ বিরোধীদের।
ক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসক দল তৃণমূল দিদির দূত নামে নয়া জনসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণা করেন। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সুযোগ সুবিধা, অভাব-অভিযোগ জানার চেষ্টা করেন। সেই কর্মসূচিতে একাধিক সমস্যার পাশাপাশি সিংহভাগ জায়গায় উঠে আসে রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ। পুরাতন মালদা, ইংরেজবাজারের একাধিক গ্রামে শেষ পাঁচবছরে রাস্তা না হওয়ার ক্ষোভে রীতিমতো পোস্টার টাঙিয়ে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান সেখানকার বাসিন্দা। কোথাও আবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যই গ্রামের রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন এমন নজিরও মিলেছে। সেই সব কিছু মাথায় রেখেই রাস্তাশ্রী প্রকল্পের ঘোষণা।
