নিরাপত্তারক্ষীদের ডচ করে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনে ঝাঁপ মহিলার, তারপর…


মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছনোর আপ্রাণ চেষ্টা! নিরাপত্তা বলয় ‘ভেদ করে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে গেলেন এক মহিলা। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

Mamata Banerjee : দিদিকে কাছে পেয়ে বাড়ির আবদার কুষ্ঠরোগীর
ঠিক কী ঘটেছে?
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর সার্কিট হাউস থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছিলেন। সেই সময় LIC চকের কাছে এক মহিলা পুলিশের ব্যারিকেড টপকে দৌড়ে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির সামনে। জোরে ব্রেক কষে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি থামান চালক।

Mamata Banerjee : ‘জীবনটাকেই অনলাইন করে দিচ্ছে…’, আধার লিঙ্ক নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার
এরপর প্রথমে কিছুটা হতচকিত হয়ে যান উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মীরাও। এরপর ওই মহিলার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও কী বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে , তা নির্দিষ্ট করে জানা সম্ভব হয়নি। যদিও এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষায় যাতে কোনও খামতি না থাকে সেজন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল মেদিনীপুরের রিং রোড। ১১টা নাগাদ মঞ্চে ওঠার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাস্তার বিভিন্ন এলাকা ব্যারিকেড করে ঘেরা হয়েছিল।

June Maliah : পথ দুর্ঘটনায় বরাতজোরে রক্ষা, মেদিনীপুরের কালী মন্দিরে পুজো জুন মালিয়ার
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থলে যাওয়ার মুখে প্রতিটি মোড়ে একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা উপস্থিত থাকেন। সেক্ষেত্রে কীভাবে নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনে এলেন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এদিন ওই মহিলা গাড়ির সামনে এসে ‘দিদি দিদি’ বলে ডাকতে শুরু করেন। এরপরেই তাঁর আহ্বানে সাড়া দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি থেকে নেমে তিনি তাঁর কথা শোনেন। এই প্রথমবার নয়, জেলাসফরে এর আগেও একাধিকবার এলাকাবাসীর কথা শুনতে গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Mamata Banerjee : কেউ পেলেন গামছা, কেউ সরষের তেল! বাজেটের দিন মহিলা মন্ত্রীদের উপহার মমতার
বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার্চ স্কুলের সামনে গাড়ি থেকে নামেন। সেই সময় এক কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়ির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান। রণজিৎ রানা নামক ওই ব্যক্তি মমতাকে কাছে পেয়ে জানান, তাঁর এখনও কোনও বাড়ি নেই। রনজিতের আবেদন মন দিয়ে শোনেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুধু তাই নয়, তাঁর ঠিকানা সহ বিস্তারিত তথ্য নিরাপত্তারক্ষীদের লিখে নিতে বলেন। তাঁর সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, জানা গিয়েছে এমনটাই। বরাবরই মাটির সঙ্গে সংস্পর্শ রেখেই চলতে পছন্দ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জনসংযোগের পদ্ধতিও অভিনব।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *