পরে জানানো হয়, মাঝরাস্তায় গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে চিকিৎসকদের আসতে বিলম্ব হয় স্বাস্থ্য শিবিরে। চরম বিশৃঙ্খলায় শুরু হয় হুগলির গোঘাটের ‘দুয়ারে ডাক্তার’ কর্মসূচিতে। বৃহস্পতিবার হুগলি জেলার গোঘাট এক নম্বর ব্লক এবং খানাকুল এক নম্বর ব্লকে ‘দুয়ারে ডাক্তার’ কর্মসূচির সূচনা হয়।
বেলা বারোটা থেকে গোঘাটের এক নম্বর ব্লকে শিবির করে চিকিৎসা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বেলা তিনটে পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক না আসায় ক্ষোভ শুরু হয়। হুগলির গোঘাটে স্বাস্থ্য শিবিরে মোট ১৪ জন চিকিৎসক হাজির থাকার কথা।
গোঘাট সহ হুগলি জেলায় একাধিক স্বাস্থ্য শিবিরের জন্য মোট ৩০ জন চিকিৎসক কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু, জানা যায়, মাঝ রাস্তায় তাঁদের গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটে। সেই কারণে নির্দিষ্ট সময়ে স্বাস্থ্য শিবিরে পৌঁছতে পারেনি চিকিৎসকদের টিম।
অন্যদিকে, দূর-দূরান্ত থেকে সকাল থেকেই হাজির হয়ে যান রোগী ও তাঁর পরিজনেরা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হওয়ার জন্যেই ক্ষোভ জমে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প দুয়ারে ডাক্তার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীন এলাকার মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা গ্রামে গিয়ে পরিষেবা দেওয়া শুরু করবেন বলে ঘোষণা করে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার নাম দেওয়া হয় ‘দুয়ারে ডাক্তার’ পরিষেবা। বিশৃঙ্খলার কারণে গোঘাট ব্লকের স্বাস্থ্য শিবিরে হাজির হন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
তিনি বলেন, “একটা নতুন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শুরুতে কিছু বিঘ্ন ঘটে। আজকে ডাক্তাররা রওনা দিয়েছিলেন, কিন্তু মাঝরাস্তায় গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় আটকে যান। তবে চিকিৎসকরা চলে আসার পর মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে চিকিৎসা করাচ্ছেন।”
জানা গিয়েছে, মোট তিনদিন ক্যাম্প চলবে এই ‘দুয়ারে ডাক্তার’ কর্মসূচির। একাধিক বিভাগের চিকিৎসকরা উপস্থিত থাকবেন। বৃহস্পতিবার থেকে আরামবাগ মহকুমার খানাকুল ও গোঘাট এলাকায় এই দুয়ারে ডাক্তার কর্মসূচি শুরু হয়।
তবে প্রথম দিনে পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটায় অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। আগামী দিনে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এই পরিষেবা চলবে কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন রোগীদের একাংশ।