জানা গিয়েছে, সুবর্ণরেখা নদীর (Subarnarekha River) শ্যামসুন্দরপুর ঘাটে এতদিন কোনও ব্রীজ না থাকার জন্য গোপীবল্লভপুর (Gopiballavpur) ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের স্থানীয় বাসিন্দাদের যোগাযোগের জন্য ভরসা করতে হতো নৌকার উপর। কিন্তু নদীতে সারা বছর জল না থাকায় সমস্যায় পড়তে হত সাধারণ মানুষকে। চিকিৎসার জন্য ঘুরপথে গোপীবল্লভপুর ব্রিজ হয়ে চোরচিতা এলাকার মানুষকে পৌঁছতে হতো গোপীবল্লভপুরে।
কিন্তু এই কাঠের ব্রিজ চালু হওয়ার ফলে গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের সাধারণ মানুষ অল্প সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন গোপীবল্লভপুরে। তাই এলাকাবাসী সম্মিলিত ভাবে উদ্যোগ নিয়ে সুবর্ণরেখা নদীর উপর এই কাঠের ব্রীজটি তৈরি করেন। যার এদিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল।
জানা গিয়েছে, পারাপারের জন্য সাধারণ মানুষ নিজের স্বেচ্ছায় কাঠের ব্রিজ নির্মাণকারী কমিটিকে আর্থিক সাহায্য করতে পারবে। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “বহু বছরের কষ্ট লাঘব হল আজ। গোপীবল্লভপুরে আসার জন্য বহু সময় লেগে যেত। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেল এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা।”
এত খুশির খবরের মধ্যেও এক স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ উগরে দেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ওই বাসিন্দা বলেন, “যে কাজটি আমরা গ্রামবাসীরা মিলে করলাম, সেটা স্থানীয় প্রশাসনের বহু আগে করা উচিত ছিল। বহুবার অনেক জায়গায় প্রচুর আবেদন নিবেদন করা হয়েছে এখানে সেতু নির্মাণের জন্য। কিন্তু প্রশাসনের বা কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও হোলদোল দেখা যায়নি। শুধু ভোটের সময় তাঁদের দেখা মেলে আর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়।”
ওই বাসিন্দা আরও বলেন, “এখানে সেতু নির্মাণের জন্য BDO অফিস, পঞ্চায়েত অফিস সব জায়গাতেই তদ্বির করা হয়েছে অনেক বছর ধরেই। শেষ পর্যন্ত গত বছর থেকেই আমরা গ্রামবাসীরা এই ফেয়ার ওয়েদার কাঠের ব্রীজ নির্মাণ করতে উঠে পড়ে লাগি। যার জেরে আজ আমরা দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেলাম।”