প্রত্যেকবার বাজেট পেশের আগে রীতি অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে মন্ত্রিসভার হয়। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘর থেকে উপহার হাতে বেরোতে দেখা গেল। তৃণমূলের দলীয় মুখপাত্র জাগোবাংলা-তে এমন তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে।
কোনও মন্ত্রীর হাতে ছিল সরষের তেলের বোতল, কারও হাতে ছিল গামছা। কেউ আবার পেয়েছেন চাদর, কেউ পেয়েছে ব্যাগ। জানা গিয়েছে, মন্ত্রীদের উপহার স্বরূপ এগুলি দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপহার পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা, শিউলি সাহা এবং চন্দ্রিম ভট্টাচার্য।
জানা গিয়েছে শশী পাঁজা পেয়েছে এক লিটার খাঁটি সরষের তেলের বোতল, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পেয়েছেন চাদর। অন্যদিকে শিউলি সাহার শিকেয় জুটেছে ব্যাগ, বীরবাহাকে মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন গামছা। কিন্তু, হঠাৎ করে কেন মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রীদের উপহার দিলেন?
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের বন্দিদের তৈরি করা কয়েকটি সামগ্রী নিয়ে এসেছিলেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে বন্দিদের তৈরি জিনিসগুলি তুলে দেন অখিল। তবে নিজের জন্য কিছুই না রেখে মহিলা সতীর্থদের মধ্যে তা বিলিয়ে দেন মমতা।
সাধারণত উপহার গ্রহণ করার বিষয়ে অনীহা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের জন্য কোনও উপহারই রাখেন না। কখনও কেউ তাঁকে কোনও উপহার দিলে তা অন্য কাউকে দিয়ে দেন তিনি। অতীতেও তাঁকে একাধিকবার এই কাজ করতে দেখা গিয়েছে। বুধবারের রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশের আগেও তার অন্যথা হয়নি।
উল্লেখ্য, অন্যান্য ঘোষণা ছাড়াও এদিনের বাজেটে সরকারি কর্মী, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য আরও ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই প্রসঙ্গে বলেন, “সীমিত আর্থিক ক্ষমতা ও নানা অসুবিধা সত্ত্বেও সরকারি কর্মীদের জন্য এই ঘোষণা করা হয়েছে।”
যদিও ডিএ ঘোষণা নিয়ে সরকারে সিদ্ধান্তে খুশি নয় কর্মচারী সংগঠনগুলি। তাদের দাবি ৩ শতাংশ ঘোষণার পরে কেন্দ্রীয় ডিএ-র সঙ্গে ফারাক কমে ৩২ শতাংশ হয়েছে। এখনও কেন্দ্রীয় হারের তুলনায় রাজ্যের ডিএ-র বিপুল ফারাক রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আগামী দিনে ডিএ নিয়ে কী রায় দেয়, সেটাই এখন দেখার।