বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ পুরসভা ভবনের ঠিক সামনে রয়েছে সুপ্রাচীন খেলার মাঠ, যা বহুদিন থেকেই রায়গঞ্জ করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। পুরসভার ময়লা ফেলার গাড়ি থেকে শুরু করে জলের ট্যাঙ্ক বা জীবানুনাশক ট্যাঙ্ক বা ট্র্যাক্টরের বেশিরভাগই এই মাঠেই রাখা থাকত।
এতদিন পুরসভা এভাবে মাঠ ব্যবহার করলেও তেমন খুব একটা সমস্যা হয়নি। কিন্তু সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা এই মাঠের মাঝে আবার নতুন করে ইটের দেওয়াল উঠতে শুরু করেছে। চলছে রাজমিস্ত্রিদের কাজও। আর এতেই টনক নড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের।
এই বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিতিকন্ঠ দত্ত অভিযোগ করে বলেন, “পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে মাঠের সৌন্দর্যায়নের জন্য স্কুলের নিজস্ব মাঠে এভাবে নির্মান কাজ চলছে। কিন্তু এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে কোনোকিছু লিখিতভাবে জানানোও হয়নি, এমনকি কোনও অনুমোদনও দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
অথচ পুর বিষয়ক দফতরের তরফে জেলা শাসককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের কাজ চলছে। যা পুরোপুরি অনৈতিক ও বেআইনী”। অন্যদিকে একাধিকবার জেলা প্রশাসন ও পুর প্রশাসনকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আরজি লিখিতভাবে জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ হয়নি, বরং কাজের গতি বেড়েছে ও পুরসভার গাড়ি রাখার সংখ্যাও বেড়েছে বলে অভিযোগ স্কুলের।
তাঁরা চাইছেন, স্কুলের নিজস্ব মাঠ সংরক্ষণ করা হোক, আর খেলার মাঠ খেলার কাজেই ব্যবহৃত হোক, ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। তবে বেদখল করে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রায়গঞ্জের পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ওই মাঠে গাড়ি বা পুরসভার অন্যান্য জিনিস থাকলে তা সরিয়ে নেওয়া হবে”।
পাশাপাশি পাড়ায় সমাধান সরকারি প্রকল্প এবং করোনেশন স্কুলও সরকারি, তাই সেক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে সমস্যা কোথায় তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি। এখন শতাব্দী প্রাচীন এই স্কুলের ঐতিহ্য রক্ষা হয় কিনা, বা প্রশাসন সেক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ নেয় কিনা, তার দিকে তাকিয়েই অপেক্ষায় রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।