বুধবার এক ব্যক্তিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানার হাটোয়ার এলাকায়। মহম্মদ মুসলিম ওরফে পাক বাবা নামে ওই ব্যক্তিকে খুন করে আরিফ নামের ওই যুবক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাটোয়ার এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি ঝুপড়িতে বসবাস করতেন।
ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই মহম্মদ আরিফ ওরফে গেইনা নামে ওই ব্যক্তি এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বিশপ সরকার। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন পুলিশ সুপার।
তিনি বলে, ‘কানফি ফাঁড়ির হাটোয়ার এলাকায় এই গুণিনকে খুন করে আরিফ। লোহার রড দিয়ে আঘাতের ফলেই মৃত্যু হয়েছে। জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করেছ সে।’
এরপর আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করে পুলিশ সুপার বলেন, “খুব কম দিনের ব্যবধানে আরিফের বাবা, মা ও ভাই মারা গিয়েছিল। তাঁর বিয়েও হয়নি। রাতে ঘুমোতে পারত না বলেই জানিয়েছে আরিফ। ঝাড়ফুঁক-তন্ত্রমন্ত্র করেও কোনও লাভ হয়নি, সেই কারণেই পাক বাবাকে খুন করে আরিফ”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে জেরার মুখে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে আরিফ। তদন্তকারী আধিকারিকদের সে বলে, “এতদিন আমি ঘুমোতে পারিনি। খুন করার পর এখন আমি শান্তিতে ঘুমোতে পারব।” পুলিশ আধিকারিকদের মতে, মানসিক অবসাদ থেকেই আরিফ এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল। ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোর রাতে মহম্মদ আারিফ ওরফে গেইনা নামে স্থানীয় এক যুবক লোহার শাবল দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় আঘাত করে। শাবলের আঘাতে গুরুতর আহত হয় ওই ব্যক্তি। গুরুতর জখম মহম্মদ মুসলিমকে বিহারের কিষানগঞ্জে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাকুলিয়া থানা ও কানকি ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিন তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আদালত তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।