নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৬১৮ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিলের কথা জানিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন বা SSC। এসএসসি প্রকাশিত ও তালিকার ৪৭৯ নম্বরে নাম রয়েছে গাইঘাটার চাঁদপাড়ার মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎ সিংহ রায়ের। বনগাঁ অম্বিকা পুর আলতাপ হোসেন হাইস্কুলে জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন তিনি।
আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিলের পাশাপাশি পরীক্ষার ওএমআর শিট প্রকাশেরও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। SSC-র তরফে প্রকাশিত অভিজিতের OMR শিটে দেখা গিয়েছে পরীক্ষায় তিনি মাত্র পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এই ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অভিজিতের বাবা বরুণ কুমার সিংহ রায় অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। এলাকায় তিনি সম্মানীয় ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত। তাঁর ছেলের নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়ানোয় এলাকায় নিন্দার ঝড়় উঠেছে। প্রাক্তন স্কুল শিক্ষকের ছেলে ঘুর পথে চাকরি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
যদিও দুর্নীতি করে ছেলের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তাঁর দাবি, ছেলে পরীক্ষা দিয়ে নিদিষ্ট পদ্ধতিতে চাকরি পেয়েছেন। এবং এই নিয়ে আইনি লড়াই চলছে।
তিনি বলেন, “আমি এই সব ব্যাপারে জানি না কিছু। পরীক্ষা দিয়েছিল, চাকরি স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। স্ক্যান্ড ওএমআর শিট দেখে কোনও কিছু বোঝা যায় না। আইনি লড়াই চলছে, তবে ছেলে এখনও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেনি। নিয়মতি স্কুলে যাচ্ছে, এখনও অবধি স্কুল নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। বাসিন্দা হিসেবে আমাদের খুবই লজ্জা লাগছে।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা বাবলু দাস এই প্রসঙ্গে বলেন , ‘আমরা ফেসবুকে দেখে জানতে পারলাম যে এই ছেলেটির চাকরি চলে গিয়েছে। ফেসবুকে দেখলাম যে চাকরির পরীক্ষায় পাঁচ নম্বর পেয়েছে। চাকরি পাওয়ার আগে গৃহশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।’
স্থানীয় আরও এক বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডল এই প্রসঙ্গে বলেন, “২০১৬ সালে উচ্চপ্রাথমিক পরীক্ষা দিয়ে বনগাঁর একি স্কুলে তিনি শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন বলেই আমার শুনেছিলাম। পরে জানলাম মাত্র পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তিনি এই চাকরি পেয়েছে, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। অযোগ্যরা চাকরি পাচ্ছেন, এদিকে যোগ্যরা দিনের পর দিন রাস্তায় বসে চাকির দাবিকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।”