এমনই চিত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ের নিকারী ঘাটা পঞ্চায়েতের মাতলা নদীর চরে। যেখানে দিনের পর দিন মাতলা নদীর চরে ম্যানগ্রোভ (Mangrove) কেটে অবাধে তৈরি হচ্ছে মাছের ভেড়ি। আতঙ্কে রয়েছেন মাতলা নদীর তীরে বসবাসকারী বাসিন্দারা।
কারণ যেভাবে দিনের পর দিন ম্যানগ্রোভ গাছ কেটে তৈরি হচ্ছে মাছের ভেরি, আর তাতেই নদী বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কায় দিন গুনছেন তারা। অন্যদিকে বিরোধীরা রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মাছের ভেরি তৈরি করা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে।
স্থানীয় CPIM নেতা সৌরভ ঘোষ বলেছেন, “এই ম্যানগ্রোভ গাছ কাটার নেপথ্যে রয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চোরাচালানকারীরা। আর তাঁদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে মদত দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। তৃনমূল (Trinamool Congress) নেতাদের কাছে সুন্দরবন গোল্লায় যাক। কিন্তু নিজেদের পকেট ভরাটা আগে। আর এই ম্যানগ্রোভ গাছ কেটে কেটেই এইসব জায়গায় মাছের ভেরি গড়ে উঠছে। আর খোঁজ নিয়ে দেখলে জানা যাবে, সব ভেরিই কোনও না কোনও তৃনমূল (Trinamool Congress) নেতার বা তাঁদের আত্মীয় বা কোনও অনুগামীদের। এটি একটি বিশাল বড় চক্র।”
এতটা আক্রমণাত্মক না হলেও প্রায় একই সুর রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল BJP-র। BJP-র জেলা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরদার এই বিষয়ে জানান, “এই মাছের ভেরিগুলি সবই গড়ে উঠেছে বেআইনি ভাবে। প্রশাসনের কোনও নজর নেই, কারণ সব ভেরিগুলিই তৃনমূল নেতা ও তাঁদের কাছের লোকজনদের। কিন্তু এর ফলে যে সুন্দরবনবাসীরা কতটা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তা এদের ভাবনা চিন্তার বাইরে।”
তবে এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃনমূল বিধায়ক পরেশ রামদাস। এই বিষয়ে তিনি জানান, “এই ম্যানগ্রোভ গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে আমি শুনেছি। বিষয়টি যথেষ্ট সংবেদনশীল। এর সঙ্গে চোরাচালানকারীরাও যুক্ত। সীমান্তরক্ষীদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। আমি আমার মত করে প্রশাসনকে বিষয়টি জানাবো। প্রশাসন আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। সুন্দরবনকে আর এখানকার মানুষজনকে বাঁচাতে যা যা করার, সবই করা হবে।”