থেকে অবসর নিলেও ট্র্যাকের দৌড় জারি রেখেছেন । অবসর জীবনে আর পাঁচজন বৃদ্ধ যখন আরামে জীবন কাটান। তখন ৬৪ বছরের বিষ্ণুপদ বাবু ভোর হতেই নেমে পড়েন মাঠে । অনেক যুবক-যুবতীদের পিছনে ফেলে দৌড়ে এগিয়ে যান তিনি ।
প্রতিদিন শরীরচর্চাই এখন তাঁর প্যাশন, নেশা । তাঁর স্ত্রী চন্দ্রিকা মণ্ডল জানান, শিক্ষকতা থেকে অবসরের পরে খেলাধুলা নিয়েই ব্যস্ত আছেন । নানা জায়গায় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পদক জয়ী বিষ্ণুপদ মণ্ডলকে নিয়ে গর্বিত তাঁর স্ত্রী ।
বার্ধক্যজনক অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে ডাক্তারের উপদেশে শরীর চর্চা শুরু করেছিলেন বিষ্ণু বাবু । কিন্তু, পরে শরীর রক্ষার সেই অভ্যেস থেকেই হয়ে উঠেছেন পেশাদার দৌড়বিদ। যৌবন বয়সে খেলাধূলা ভালো লাগলেও তখন এমন দৌড় নিয়ে কোনও বাড়তি কথা ভাবেননি। কিন্তু, এখন দৌড়ে পশ্চিমবঙ্গকে একাধিক বিভাগে পদক এনে দিচ্ছেন বিষ্ণু মাস্টার ।
অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক চান, যুবসমাজ শরীরচর্চায় আরও উদ্যোগী হোক । সম্প্রতি ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ের বয়স্কদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয় মেদিনীপুরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে । সেখানে ১০০ মিটার দৌড় , ৪০০ মিটার দৌড় ও ৪×৪০০ মিটার রিলে রেসে সোনা জয়ী হেলেঞ্চার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ।
এছাড়া ২০০ মিটার ৮০০ মিটার ৪×১০০ মিটার রিলে রেসে রুপোর পদক জেতেন বিষ্ণুপদ মণ্ডল । শিক্ষকতা থেকে অবসরের পরে একের পর এক পদক জিতে খুব খুশি এলাকার জনপ্রিয় শিক্ষক ।