আবার আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালত থেকে শুনানি শেষে অনুব্রতর গাড়ি যখন জেলের দিকে এগোচ্ছে তখনও সেই মানুষটি একইভাবে গাড়ির সামনে এগিয়ে যান। যদিও পুলিশকর্মীরা সেই সময় তাঁকে আটকে দেন। আদালত চত্বরে উপস্থিত সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অন্যান্যরা এই ঘটনা খানিক হকচকিত হয়ে যান।
কে এই ব্যক্তি? কী তাঁর পরিচয়? এই নিয়ে আলোচনার মধ্যে জানা যায় তাঁর সম্পর্ক। সাংবাদিকরা তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন তিনি এক অনুব্রত মণ্ডল অনুগামী। মা তারা, ঘাগর বুড়ি, কল্যাণেশ্বরী, চন্দ্রচূড় এই চারটি মন্দিরে জেলবন্দি তৃণমূল নেতার মঙ্গল কামনা ও জামিনের জন্য পুজো দিয়েছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তির নাম রজত গড়াই। তিনি বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার একজন কর্মী। ‘কেষ্ট দা’ অন্ত প্রাণ এই তৃণমূলকর্মীর প্রার্থনাতেও বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। আদালতের রায়ে জেলেই ফিরতে হচ্ছে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ জেলা তৃণমূল সভাপতিকে।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘দাদা’ (অনুব্রত) কে ভালবাসেন বলেই ছুটে এসেছেন। কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, অনুব্রত অসুস্থ তাই ঘুরপথে অল্প কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে দাদার ঢঙেই কথা বলতে ভালোবাসেন রজত। সেই কারণে বিজেপিকে ‘পোলে বেঁধে রাখার’ নিদান দিতেও শোনা যায় তাঁকে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আদালতের রায় মেনে নিতে হবে। বিচারক যা রায় দেবেন তাই মাথা পেতে নেব। অনুব্রতকে ভালোবাসি বলেই এখানে এসেছি। উনি সম্পূর্ণ নির্দোষ, আমাদের জেলা সভাপতির কোনও দোষ নেই। দাদার সঙ্গে দেখা হয়েছিল, গাড়িতে ছিলেন বলে কথা হয়নি।”
তিনি বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। কাজল শেখের সঙ্গে আমার দাদার বনে না। কোন নেতা কী বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না, আমি দাদাকে ভালোবাসি এবং তৃণমূল কংগ্রেস করি।” উল্লেখ্য, গোরুপাচার মামলায় এখনও জেলেই থাকতে অনু্ব্রতকে। এদিনও আদালত তাঁকে জামিন দেয়নি।