দাঁড়িয়ে যায় সারি সারি গাড়ি। গ্রামবাসীরা নাছোড়বান্দা মনোভাব নিয়ে অবরোধ তুলতে চাননি। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এই এলাকায় একটি উড়ালপুল ও সাবওয়ে গড়ে তুলতে হবে। নাহলে এলাকায় পথ দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে না।
অবরোধে অংশ নেওয়া এক স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিকদের বলেন, “স্থানীয় প্রশাসন আমাদের এলাকায় উড়ালপুল গড়ার নামে বহুদিন ধরে ঘুরিয়ে চলেছে। অনেকদিন ধরে আশ্বাসবানী শুনছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই এলাকায় উড়ালপুল তৈরি হল না। সেই কারণেই আমাদের আজকের এই বিক্ষোভ।”
ওই বাসিন্দা আরও জানান, “ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের এই জাতীয় সড়ক পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। ওদের একা ছাড়তে ভয় লাগে। কারণ এই এলাকা খুবই দুর্ঘটনাপ্রবণ। বারবার আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে এই ব্যাপারে জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনের আধিকারিকরা আমাদের কথাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেননি।”
এদিকে বিক্ষোভের খবর পেয়ে স্থানীয়দের দাবীকে সমর্থন জানিয়ে ঘটনাস্থলে যান বর্ধমান পুরসভার তৃণমুল কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর রাসবিহারী হালদার ও হিরন মণ্ডল। বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়ে কাউন্সিলর রাসবিহারী হালদার বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভাবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা। এভাবেই তাঁরা রাজ্যের উন্নয়নকে বারবার স্তব্ধ করে দিতে চাইছে। তৃনমূল কংগ্রেসের হাত ধরে রাজ্য যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে, তা তাঁদের সহ্য হচ্ছে না। তাই এভাবে কাজে ঢিলেমি করছেন তাঁরা। আর তার ফল ভোগ করছেন সাধারন মানুষ।”
প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে এই বিক্ষোভ ও অবরোধ। অবরোধে আটকে পড়ে দুর্গাপুর ও কলকাতাগামী বহু যানবাহন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বর্ধমান থানার পুলিশ৷ পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, ডানকুনি থেকে বরাকরগামী জাতীয় সড়কের ওপর বর্ধমান থেকে আসানসোল পর্যন্ত অনেক জায়গাতেই রাজ্য সরকার ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে উড়ালপুল ও তার নিচে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে।