জানা গিয়েছে, দিঘায় পর্যটকদের জন্য বসতে চলেছে কমপ্লেন বক্স। খাবারের গুণমান থেকে শুরু করে অতিরিক্ত হোটেল ভাড়া নিয়ে সেখানে জানানো যাবে অভিযোগ। এই কমপ্লেন বক্সগুলি এমন জায়গায় রাখা হতে চলেছে যাতে প্রত্যেকের নজরে তা আসে।
শুধু কমপ্লেন বক্স নয়, একইসঙ্গে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সেই নম্বরে ফোন করেও পর্যটকরা জানাতে পারবেন অভিযোগ। উল্লেখযোগ্যভাবে, দিঘা, মন্দারমনি, উদয়পুর এই পর্যটনকেন্দ্রগুলির উন্নয়নের জন্য উদ্যোগী প্রশাসন। নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। দিঘার উন্নয়নের বিষয়টির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পুরীর আদলে একটি জগন্নাথ মন্দিরও নির্মাণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, আন্ডারওয়াটার পার্ক তৈরির বিষয়েও করা হচ্ছে পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের জন্য জমি খোঁজার কাজও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
পাশাপাশি দিঘায় তৈরি হচ্ছে সামুদ্রিক প্রাণী সংগ্রহশালা এবং গবেষণা কেন্দ্র। দিঘায় আন্ডার ওয়াটার পার্কটি তৈরির জন্য হিডকোর তরফে একটি জায়গাও দেখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে কোথায় এই আন্ডার ওয়াটার পার্ক তৈরি হবে তা এখনও নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। এদিকে দিঘার হোটেলগুলিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ‘ফায়ার সেফটি এবং সিকিউরিটি’ বৈঠকের ডাক দিয়েছিল।
সেখানে ফায়ার এক্সটিংগুইশারে ব্যবহার প্রসঙ্গে কে কতটা ওয়াকিবহাল, সেই বিষয়টি জানার জন্য প্রশ্ন করা হয়। একজন হোটেল মালিক জানান, তিনি এই বিষয়টি প্রসঙ্গে ওয়াকিবহাল।
বৈঠকে প্রায় ৩০০ হোটেল মালিক উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র একজন হাত তুলেছিলেন। আর এই বিষয়টিই রীতিমতো ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। যদিও হোটেল মালিকদের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে, প্রতিটি হোটেলেই উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকদের সুরক্ষার দিকটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে যাঁরা বেড়াতে আসছেন তাঁদের আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।