Hooghly News : বিদ্যালয় ভবনের বেহাল দশা, ঝুঁকি নিয়েই টালির চাউনিতেই চলছে ক্লাস – parents are furious about bad condition of school building in hooghly


West Bengal News : স্কুলের পাকা বিল্ডিং এর ঘরের বেহাল দশা। আর তাই টালির চালের ছাউনি দেওয়া ঘরেই চলছে ক্লাস। যদিও সেই টালির চালের ঘরের অবস্থাও ভালো নয়। এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দাবি, অফিস ঘর থাকলেও মিড ডে মিলের খাওয়া দাওয়া চলছে সেখানে।

Primary School : স্কুলের কার্নিশের চাঙড় ভেঙে পড়ল মাথায়! বর্ধমানে জখম তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী
আবার সেই ঘরেই করতে হচ্ছে স্কুলের অফিসিয়াল কাজ এবং ক্লাস। এমনই বেহাল দশার ছবি ধরা পড়েছে হুগলি জেলার দাদপুর থানার মাকালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদিষ্টা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

এই বিষয়ে স্কুলের টিচার ইনচার্জ অঞ্জন কুমার দত্ত জানান, “২০১৭ সালে স্কুলের পাকা ঘরে ফাটল দেখা যায়। এর পরই ক্লাস নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশেই একটি টালির ছাউনি দেওয়া ঘরে ক্লাস চালু করা হয়। যদিও সেই ঘরের অবস্থাও বেহাল।” অভিযোগ, কোনোরকমে স্কুল চালাতে হচ্ছে তাদের। স্কুলের ভগ্ন দশার কারণে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন শিক্ষক থেকে অভিভাবকরাও।

Raiganj Coronation High School : শতাব্দী প্রাচীন স্কুলের মাঠ জবরদখলের অভিযোগ পুরসভার বিরুদ্ধে! প্রতিবাদে সরব স্কুল কর্তৃপক্ষ
এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, “স্কুলের ভগ্ন দশার কথা জানিয়ে মেরামতের দাবিতে বার বার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শুনেছি টাকা অনুমোদন হয়েছে।” অন্যদিকে অভিভাবকদের দাবি, স্কুল বিল্ডিং মেরামত করে পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার দিকে নজর দিক প্রশাসন।

এই বিষয়ে এক অভিভাবক জানান, “প্রত্যেকদিন বাচ্চারা স্কুলে যায়, আর আমরা বাড়িতে আতঙ্কে থাকি। এভাবে কতদিন আর চলা যায়! স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে প্রশাসন কারোর কোনও তাপ উত্তাপ নেই এই বিষয়ে। এদিকে এতজন বাচ্চা এই স্কুলে পড়াশোনা করে। যদি কিছু অঘটন ঘটে যায় তো কে দায়িত্ব নেবে”? প্রশ্ন তুলেছেন ওই অভিভাবক।

TET Scam Kolkata: আসলজন অসুস্থ, ৪ বছর ধরে ক্লাস করাচ্ছেন প্রক্সি শিক্ষক! অভিযোগ ঘিরে শোরগোল
তিনি আরও বলেন, “আজ থেকে না, এই স্কুলের হাল বহুবছর ধরে খারাপ। এই কারণে অনেক মা বাবা’ই তাঁদের সন্তানদের এই স্কুল থেকে সরিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি করেছেন।” যদিও এই বিষয়ে দাদপুর সার্কেলের স্কুল পরিদর্শক সৌমিতা আচার্য বলেন, “স্কুলের বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব তারাতারি প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যেই স্কুলের মেরামত এবং নতুন বিল্ডিং তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ফান্ড অনুমোদন করা হয়েছে।”

কিন্তু অভিভাবকরা বলছেন, এই প্রতিশ্রুতি অনেকদিন ধরেই চলছে। কবে যে আসল কাজ করা হবে, তা নিয়েই সন্দিহান তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *