প্রায় ৩-৪ বছর ধরে পুরস্কারের আশায় লটারির টিকিট কাটছিলেন এই দম্পতি। অবশেষে স্বপ্ন পূরণ দম্পত্তির। বৃহস্পতিবার লটারির রেজাল্ট বেরলে জানা যায় কোটি টাকার প্রথম পুরস্কারের শিকে ছেঁড়েছে তাদের কপালেই।
খবর শুনে প্রথমে তো বিশ্বাই করতে পারছিলেন না মায়া। তিনি বলেন, গত ৩-৪ বছর ধরে তারা ওই এলাকার একটি দোকান থেকে লটারির টিকিট কেনেন। একবার ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার জিতেছিলেন তারা।
টোটো চালক দম্পত্তির এই জয়ে উচ্ছ্বসিত লটারি বিক্রেতা দোকান মালিকও।দোকানের মালিক ফোন করে জানায় তাদের কেনা লটারি টিকিট এক কোটি টাকা জিতেছে। প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে নম্বর মিলিয়ে দেখে নিশ্চিত হয় সুমন ও মায়া।
কিন্তু টাকা আসতেই নয়া চিন্তা এসে ঢোকে তাদের ছোট্ট ঘরে। এক ধাক্কায় এতগুলো টাকা। তাই নিরাপত্তার অভাব ঘোচাতে টিকিট নিয়ে সোজা থানার দ্বারস্থ হন। টিকিটটি থানায় জমা দেন।
কিছু দিনের মধ্যেই ব্যাঙ্কে জমা পড়বে ওই বিপুল পরিণাম টাকা। কিন্তু এখনই এই টাকা নিয়ে কী করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না মায়া ও সুমন।
সম্প্রতি মায়া ও সুমনের মতোই জীবন বদলে দেওয়া জ্যাকপট পেয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা বাগদা থানা এলাকার মনোহরপুরের বাসিন্দা লিটন বিশ্বাস। ছোট্ট একটি কাপড়ের দোকানের মালিক মাত্র ৬ টাকার টিকিটে জেতেন কোটি টাকা। লটারি প্রাপ্তির পর এই টাকা দিয়ে তাঁর দুই ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ার পরিকল্পনা করেন লিটন। তাদের যাতে ভালো করে পড়াশোনা করাতে পারেন সেটাই অগ্রাধিকার তাঁর।