পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। কী কারণে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আত্মঘাতী হয়েছে তা নিয়ে ধন্দে পরিবার। জানা গিয়েছে, ঝর্ণার বাবা বছর খানেক আগে প্রয়াত হয়েছেন।
মা ও বোনকে নিয়ে বসবাস করতেন ঝর্ণা। ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল। প্রতি বছর ক্লাসে প্রথম হত। তাঁকে ঘিরে অনেক আশা ছিল তপন বানিয়াল হাইস্কুলের (Tapan Baniyal High School) শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও৷
স্কুলের মাধ্যমিমের টেস্ট পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে৷ বুধবার স্কুল থেকে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড তুলে নিয়ে আসেন ঝর্ণা।
বাড়ি আসার কিছু পরেই বাড়িতে আত্মঘাতী হয় বলে দাবি পরিবারের। পরিবার সূত্রে খবর, ঝর্ণার মা সেই সময় মাঠে কাজ করছিলেন। এদিকে বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানতে পেরেই স্কুলের একাধিক শিক্ষক, শিক্ষিকা ঝর্ণার বাড়ি যান।
তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা৷ তবে কী জন্য ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আত্মঘাতী হলেন তা নিয়ে ধন্দে পরিবার ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এ বিষয়ে মৃতার আত্মীয় বিপ্লব লাকরা বলেন, কাল বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় ঝর্ণা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন৷
সন্ধ্যের দিকে বিষয়টি নজরে আসে৷ ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিল সে৷ পরীক্ষার সাত দিন আগে কেন আত্মঘাতী হল সে কিছুই বুঝতে পারছি না।
বানিয়াল স্কুলের শিক্ষক মাইকেল গাওয়া জানান, “আজ স্কুলে গিয়ে জানতে পারি ঝর্ণার বিষয়টি৷ খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে যাই ৷ পরিবারকে সমবেদনা জানানো হয়েছে। ঝর্ণা বরাবরই ভাল ছাত্রী ছিল। প্রথম হত প্রতি ক্লাসেই৷ কাল পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড নিয়েছিল।”
স্কুলে তাঁর আচরণের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করা যায়নি বলেই জানানো হয়েছে। পরীক্ষার আগে এমনটা করল কেন সে সম্বন্ধে নিশ্চিত নন সহপাঠীরাও। অন্যদিকে তপন থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।