TET Scam News: টাকা দিলেই চাকরি নিশ্চিত, না হলে সুদ সমেত মূলধন ফেরাতেন ‘সৎ রঞ্জন’ বলে দাবি – bagda tmc leader chandan mondal give jobs in exchange of money claimed locals after his arrest in teacher scam case


West Bengal Teachers Scam: বাগদার চন্দন মণ্ডলের গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল রাজ্য রাজনীতিতে। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে এই তৃণমূল নেতার। স্থানীয় সূত্রে দাবি, একাধিক প্রভাবশালী মানুষের যাতায়াত ছিল চন্দনের বাড়িতে। এদিন চন্দনের সঙ্গে যুক্ত আরও পাঁচ জন এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই বলেই জানা গিয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে খবর, বাগদার চন্দন মণ্ডলের টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরির এই কারবার বহুদিনের। প্রথমের দিকে টাকার অঙ্ক কম হলে পরে চাকরির জন্য লাখ লাখ টাকা তিনি তুলেছেন বলে অভিযোগ। এলাকার বহু মানুষকে তিনি চাকরি করে দিয়েছেন বলে দাবি।

কত মানুষকে যে তিনি চাকরি দিয়েছে সেই পরিসংখ্যান সঠিকভাবে কেউ বলতে না পারলেও, যদি সকলের চাকরি যায় তাহলে হাহাকার পড়ে যাবে এলাকায় বলে দাবি। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল।

Teacher Scam in West Bengal: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI-র হাতে গ্রেফতার বাগদার ‘বহুচর্চিত’ রঞ্জন

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার চন্দন মণ্ডলের চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, শিক্ষক-নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রঞ্জন-বোমাটি প্রথম ফাটিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তা উপেন বিশ্বাস।

এরপর আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টে জানান, উপেন বিশ্বাস উল্লেখিত রঞ্জন আদতে উত্তর ২৪ পরগনা বাগদার মামাভাগনে গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মণ্ডল। তারপরই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রয়োজনে চন্দনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে সিবিআই।

Justice Abhijit Ganguly : ‘…আরও অনেকে আছে’, চন্দনের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

সৌমেন নন্দী নামে এক চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিকে নিয়োগ-কেলেঙ্কারি নিয়ে মামলা করেছিলেন। সেখানে ৮৭ জনকে ­­­­বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তুলে ধরা হয়। সেই মামলাতেই এবার সিবিআই হেফাজতে বাগদার চন্দন মন্ডল।

ইউটিউব ভিডিয়োয় উপেন বিশ্বাস দাবি করেছিলেন, এলাকায় লোকে রঞ্জনকে ‘সৎ’ বলে মানেন। কারণ, তিনি নাকি টাকা নিয়ে চাকরি দেননি, এমনটা হয়নি। চাকরি না দিতে পারলে সুদ-সহ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন, এমন উদাহরণও আছে। তিনি ‘গোপনীয়তার স্বার্থে’ রঞ্জনের আসল নাম ভিডিয়োটিতে না জানালেও পরে প্রকাশ্যে আসে চন্দনের নাম।

Abhishek Banerjee: চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে দেড় লাখ টাকা আদায়, সরকারি অফিসের সামনে অন্তঃসত্ত্বার ধরনা

ভিডিয়োটিতে উপেনবাবু দাবি করেছিলেন, প্রাথমিকে ১০ লাখ, উচ্চ প্রাথমিকে ১৫ লাখ, হাইস্কুলের চাকরি ১৮-২০ লাখ টাকায় পাইয়ে দিতেন রঞ্জন। এলাকায় গিয়ে জানা গিয়েছে, লাখ লাখ টাকা তাঁর হাত দিয়ে আদানপ্রদান হত।

এলাকাবাসীর অনেকেরই মত, এই টাকা চন্দন একা নেয়নি। চন্দন এই টাকা নিয়ে পৌঁছে দিত আরও কারও কাছে। তবে চন্দনের এই গ্রেফতারের খবর জানতেই এলাকা জুড়ে এক নিস্তব্ধতা গ্রাস করেছে, কারণ চাকরি গেলে বহু মানুষ কাজ হারা হবে আজ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *