নিজেকে হকার বলে পরিচয় দেওয়া ওই মহিলা জানিয়েছেন, জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে। মহিলার অভিযোগ শুনে, ফিরহাদ জানিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যেন গ্রেফতার করা হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা তিনি জারি করবেন। মহিলাকে স্থানীয় থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন মেয়র, পাশাপাশি তিনি যাতে হকার হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন সেই বন্দোবস্ত করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
গোটা শহর জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় রাজপথের উপর বসেন হকাররা। শহরের মেট্রো স্টেশন লাগোয়া চত্বরে হকারদের আধিক্য অনেক বেশি দেখা যায়। ফুটপাথের পথ সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে পথচারীদের চলাচল করতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়।
শুক্রবার কলকাতা মেয়র বলেন, “কোনও হকারই নিজের ফুটপাথের জায়গা অন্য কাউকে বিক্রি করতে পারে না। এমনকী জায়গা ভাড়া দেওয়াও বেআইনি। আমি টাউন ভেন্ডিং কমিটিকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার আবেদন করব। যে ব্যক্তি এই মহিলার থেকে টাক নিয়েছেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।”
ফিরহাদ বলেন, “হকার নিয়ে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু নীতি রয়েছে। হকারদের দ্রুত পুরসভার তরফে লাইসেন্স দেওয়া হবে, কিন্তু জায়গা বিক্রি করা যাবে না… বড়বাজার, চাঁদনি চক ও নিউ মার্কেট এলাকাতে হকারি করার জন্য চাহিদা বেশি। সেই কারণে আমরা দ্রুত সার্টিফিকেট তাদের হাতে তুলে দিতে চাই যাতে হকার ইউনিয়ন, পুলিশ বা অন্য কেউ তাদের থেকে টাকা চাইতে না পারে।”
হকার ইউনিয়নে নেতারা জানিয়েছেন, কলকাতায় ফুটপাথের জায়গা বিক্রির চল রয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতার ফুটপাথে আড়াই লাখ হকার বলে, যাঁদের মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার জন শুধু খাবারই বিক্রি করেন। তবে ইউনিয়ন নেতারা জানিয়েছেন, করোনার সময়ে অনেকের ব্যবসা শেষ হয়ে গিয়েছে।