ভিন্রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন রবিউল। কিন্তু সেই লড়াইয়ে বাধ সাধে লকডাউন। বেকার হয়ে রবিউলকে বাড়ি ফিরে আসতে হয়। বাড়িতে ফিরে এসে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি।
অন্যদিকে তাঁর সঙ্গী হারুনের জীবনকাহিনীও অনেকটা একইরকমের। প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে অর্থাভাবে আর পড়াশুনো করতে পারেননি তিনিও। ইটভাটার শ্রমিকের কাজে যোগ দিতে বাধ্য হন তিনি।
রবিউল এবং হারুনের জীবনের দুই রেখা মিলে গিয়েছিল বছর তিনেক আগে ভিনরাজ্যে। বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়ে শখপূরণের জন্য একটি ক্যামেরা কিনেছিলেন রবিউল। নতুন ক্যামেরা গ্রাম্য জীবনের নানা ঘটনা অভিনয় করে বন্দি করা শুরু করেন দুই বন্ধু।
তৈরি করা ভিডিতে হাসির উপাদান মিশিয়ে শুরু হয় পোস্ট। ইউটিউব চ্যানেলে শুরু হয় তার সম্প্রচার। সাদামাঠা গ্রাম্য ভাষার সেই সব ছোট ছোট হাসির নাটক ভাইরাল হয়ে যায় দিন কয়েকের মধ্যে। কয়েক মাসের মধ্যে এক লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে যায় রবিউল ও হারুনের ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা। এখন সেই সংখ্যা ৭০ লাখ বা ৭ মিলিয়ন।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে কতটাকা রোজগার হয় তা জানানি রবিউল বা হারুন কেউ। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার থাকে বার্ষিক আয় হতে পারে প্রায় সাত কোটি টাকা। রবিউল এবং হারুনের গল্প উঠে আছে গ্রাম্য জীবন থেকে। পারিবারিক অশান্তি, বিবাহ অনুষ্ঠান, প্রেম ইত্যাদি নানা ঘটনা নিয়ে তৈরি হয় ওই নাটকগুলি।
গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের গল্প বলাতেই এই সাফল্য মিলেছে বলে রবিউলের দাবি। তাঁর বন্ধু হারুন বলেন, ‘‘আমরা তেমন পড়াশোনা জানি না। ভাল করে গুছিয়ে কথা বলতে পারি না। তবে আমাদের কাছে প্রচুর গল্প আছে। সেই গল্প নিয়েই আমাদের সাফল্য।’’