আজ সারাদিন, সারারাত খোলা থাকবে মন্দিরের গর্ভগৃহ। সন্ধ্যায় চতুর্দশী তিথি পড়লে ভক্ত সমাগম আরও বাড়বে তারকেশ্বর মন্দিরে। কথায় আছে, ‘ক্ষ্যাপার চোদ্দ, ক্ষেপির আট’ মেনে চললে মানুষের মঙ্গল হয়। ক্ষ্যাপার চোদ্দ মানে আজ শিব চতুর্দশী, আর ক্ষেপির আট মানে দুর্গা অষ্টমী।
অর্থাৎ অষ্টমীতে মায়ের চরণে অঞ্জলি দিতে যেমন প্যান্ডেলে ভিড় জমে তেমনই আজ শিব চতুর্দশীতে ভোলানাথের কাছে শ্রদ্ধা জানাতে তারকেশ্বর মন্দিরে ভিড় জমান মানুষেরা। কথিত আছে, দেবাদিদেব মহাদেবের সঙ্গে পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল আজকের দিনে, তাই আজকের দিনটিকে শিবরাত্রি হিসাবে পালন করা হয়।
মূলত পরিবারের সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনায় পুরুষ ,মহিলা নির্বিশেষে শিবরাত্রি ব্রত পালন করেন সকলে। সারাদিন উপবাস থেকে শিবের মাথার জল, ফুল, বেলপাতা ঢালেন ভক্তরা। আর এতেই শিবের আশীর্বাদ বর্ষিত হয় পরিবারের সকল সদস্যদের মাথায়, এমনটাই বিশ্বাস করেন ভক্তরা। মিটে যায় দুঃখ, দুর্দশা। ফিরে আসে সুখ, শান্তি।
তাই আজকের এই বিশেষ দিনে রাজ্যের সর্ব বৃহৎ শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড়। স্থানীয় মানুষ ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন মন্দিরে। গর্ভগৃহে প্রবেশ করে বাবার মাথায় জল ঢেলে মনস্কামনা জানাচ্ছেন ভক্তরা।
তারকেশ্বর পুরোহিত মন্ডলির সভাপতি সন্দীপ চ্যাটার্জী জানান, “আজকে ভোগ আরতি ও সন্ধ্যা আরতি বন্ধ থাকে। রাত ৯টার সময় শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে তারকেশ্বর মঠ ও মন্দিরের মহন্ত মহারাজ বিশেষ পুজো অর্চনা করার সব কিছু নিবেদন করা হয়। শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে চার প্রহরে চারবার পুজো করা হয়”।
বাবার মাথায় জল ঢালার পর এক ভক্ত বলেন, “উপবাস থেকে সবাই মিলে পরিবারের সুখ শান্তি কামনায় বাবার মাথায় জল, ফুল, আকন্দফুলের মালা, বেলপাতা ঢাললাম। প্রচুর ভিড় হয় আজকের দিনে, তাই সকাল সকালই জল ঢালতে চলে এলাম”।