কারণ, বিদ্যুৎ লাইনের তার আসবে কোন দিক দিয়ে, এই নিয়েই দেখা দিয়েছিল জট। একাধিকবার ওই পরিবারগুলি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা। পুরসভার জনবহুল এলাকায় সমস্ত বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকলেও মাত্র ওই পাঁচটি পরিবারই এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
অবশেষে জমি জট কাটিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ পেল ওই পরিবারগুলি। শনিবার বিদ্যুৎ পাওয়ার পরেই বিদ্যুতের সুইচ টিপে ল্যাম্প জ্বালিয়ে এর উদ্বোধন করেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধাড়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রকোনা পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোবিন্দ দাস সহ বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা।
এই বিষয়ে ওই পরিবারগুলির এক সদস্য জানান, “আজ ভীষণ আনন্দের দিন। দীর্ঘ ২৫ বছর পরে বাড়িতে আলোর মুখ দেখতে পেলাম। এই ২৫ বছর অনেক কষ্টে দুর্বিষহ অবস্থায় কাটাতে হয়েছে। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে সব থেকে সমস্যা হত। গ্রীষ্মকালেও খুব কষ্ট হত। পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অসুবিধে পোহাতে হয়েছে”।
আর এক পরিবারের এক সদস্য বলেন, “বিদ্যুৎ পাওয়ার বিষয়টি জমি জটে আটকে ছিল। চন্দ্রকোনা পুরসভাকে অনেক ধন্যবাদ এই জমি সমস্যার সমাধান করে বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য। যখন সব জায়গায় বিদ্যুৎ দেখতাম, বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে, তখন খুবই খারাপ লাগত।
ভেবেছিলাম এই জন্মে আর বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়া হবে না। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতর ও চন্দ্রকোনা পুরসভা যেভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন, তাতে আমরা অভিভূত”। উল্লেখ্য, গত বছরের জুন মাসেই স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতন বিদ্যুতের স্বাদ পেয়েছিল আসানসোলের জামডোবা গ্রাম।
আসানসোল পুরনিগমের ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড জামডোবা গ্রামে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর এসেছিল বিদ্যুৎ পরিষেবা। এই গ্রামটি এতদিন অন্ধকারে ডুবে ছিল।আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেছিলেন, ওই গ্রামের সমস্যার কথা শুনেছি। যাতে শীঘ্রই ওই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তারপরেই তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়।