কংগ্রেস-বাম-বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ
এদিনের সভামঞ্চ থেকে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election) বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) একটি ছবি দেখিয়ে তিনি অশুভ আঁতাতের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ”কংগ্রেসকে একটা ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। এখানে কংগ্রেস জিতলে তারপর তার বিজেপিতে যোগ দেওয়া সময়ের অপেক্ষা। রাম-বাম-হাত চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।”
অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ
এখানেই শেষ নয়, মুর্শিদাবাদের ইতিহাস আউরে তিনি বলেন, ”এখানে কোনও বুথে তৃণমূল ভোটে হারলে সেই বুথকে বলা হবে মীরজাফরের বুথ। একুশের ভোটের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ সাগরদিঘি উপনির্বাচন।”
এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিজে অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) মীরজাফর বলে উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, দিদির পুলিশে আস্থা নেই। অমিত শাহের বাহিনী অর্থাৎ সিআরপিএফ নিয়ে ঘুরছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অভিষেকের অভিযোগ, ”বিজেপির (BJP) বি টিম হিসেবে কাজ করছে কংগ্রেস। সেখানে ভোট দেওয়া মানেই বিজেপিকে জেতানো।”
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন
সাগরদিঘি থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের অডিয়ো ক্লিপ শুনিয়ে তিনি কংগ্রেস-বাম-বিজেপি অশুভ আঁতাতের অভিযোগ তোলেন। তাঁর শোনানো অডিয়ো ক্লিপিংসে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, ” সনাতনী হিন্দু বুথগুলিতে বিজেপির জয় নিশ্চিত তো করবই। সেই সঙ্গে সংখ্যালঘু বুথগুলিতে যাতে জোড়াফুল না জেতে তাঁর ব্যবস্থাও করে এসেছি।” অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, ”কিভাবে এক মাস আগে থেকে এই দাবি করছেন শুভেন্দু? তার মানে কার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তারা তা স্পষ্ট।”
প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এছাড়া এদিনের সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, ”সুব্রত সাহার জায়গায় প্রার্থী আজ দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় নন, প্রার্থী আসলে মমতা বন্দ্যোরপাধ্যায়।” সেই কথা মনে রেখেই তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন করেন। একইসঙ্গে ভোটে জিতে বিড়ি শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।