এদিকে, গত মাসেও কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে এক পাঁচ মাসের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছিল। সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। তবে তার শরীরে অ্যাডিনো ভাইরাস থাবা বসিয়েছিল কি না, তা নিয়ে কোনও নিশ্চিত খবর মেলেনি। এই নিয়ে চিকিৎসকরাও নিশ্চিতভাবে কিছু জানাননি সে সময়।
তবে জেলায় জেলায় অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভিড় বাড়ছে আক্রান্ত শিশুদের। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নাইসেডের সাম্প্রতিক রিপোর্টও। তবে এই শিশু মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জারি করা হয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইনও। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালকে শিশুদের জন্য ভেন্টিলেটার এবং অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।
কী রয়েছে নাইসেডের রিপোর্টে?
উল্লেখ্য, গত দেড়মাসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো পাঁচশোরও বেশি নমুনার মধ্যে ৩২% অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। ১২%-এর শরীরে মিলেছে রাইনো ভাইরাস আর প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে ১৩ %-এর শরীরে।
শিশুদের জন্য কী নির্দেশিকা?
> ‘৩ থেকে ৫ দিন টানা জ্বর থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে শিশুদের’
> ‘শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বস্তি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে’
> ‘রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের কম থাকলে ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে’
> ‘শিশুরা অসুস্থ থাকলে স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ
> ভিড় এড়ানোর পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে
> মাস্ক ব্যবহারে জোর দেওয়ার পরামর্শ
অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ কী কী?
> তিনদিনের বেশি জ্বর
> নাক দিয়ে জল পড়া, মাথা যন্ত্রণা
> গলা ব্যথা, কাশি
> গা হাত পা ব্যথা
> বমি, লুস মোশন
> দ্রুত নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা
গৃহচিকিৎসার উপায়
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, উপরের কোনও একটিও উপসর্গ দেখা গেলে প্রচুর পরিমাণ জল কিংবা ORS খেতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খেতে হবে। তবে দিনে সর্বাধিক পাঁচবার। নাক বন্ধ হয়ে গেলে নুন দিয়ে গারগেল। খেয়াল রাখতে হবে প্রস্রাবের পরিমাণেও।