Asansol Shootout Case : ২ বন্দুকবাজের ছবি আঁকাচ্ছে সিআইডি – cid investigation asansol hotel owner shootout case


এই সময়, আসানসোল: হোটেল মালিক খুনের তদন্তে নামল CID। শনিবার সকালে কলকাতার ভবানীভবন থেকে CID-র ৬ সদস্যর একটি দল ভগত সিং মোড় সংলগ্ন সেন র‍্যালে রোডের ওই হোটেলে এসে পৌঁছয়। হোটেল ম্যানেজার সইফ আলি ও মৃত মালিকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেন তদন্তকারীরা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় খুনের পর থেকে অধরা দুই বন্দুকবাজ। প্রাথমিক তদন্তে খুনের কোনও সূত্র পায়নি পুলিশ। দুই বন্দুকবাজের ছবি আঁকানোর জন্য এদিন দুপুরে এক শিল্পীকে হোটেলে ডেকে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ মতো তিনি ছবি আঁকবেন।

Asansol Shootout : আসানসোলের হোটেলে শ্যুটআউট, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলি ব্যবসায়ীকে
যদিও, দুই বন্দুকবাজের এক জনের মাথায় হেলমেট ও অন্য জনের মাথা ছিল বাঁদুরে টুপি জাতীয় কিছুতে ঢাকা। তদন্ত চলাকালীন দুপুরে হোটেলে আসেন ডিসিপি(পশ্চিম) অভিষেক মোদী। তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি।

এদিনই একটার পরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিহত হোটেল মালিক অরবিন্দ ভগতের ময়না-তদন্ত শুরু হয়। তবে প্রথমে তাঁর শরীর থেকে কোনও গুলি না মেলায় দেহ এক্স-রে করে ফের আর এক দফা ময়না-তদন্ত হয়। শেষ পর্যন্ত পেট ও মুখ থেকে পাওয়া যায় পিস্তলের দু’টি গুলি। হোটেল থেকেই CID-র তদন্তকারীরা পান একটি গুলির খোল।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত, খুনের ঘটনায় জড়িত পেশাদার খুনিরাই। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথম দু’টি গুলি চালানোর পর দুষ্কৃতীরা হোটেল মালিকের নাকের কাছে হাত নিয়ে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বোঝার চেষ্টা করে। কিছু পরে তারা ফের গুলি চালিয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু ওই পেশাদার খুনিদের সঙ্গে কে বা কারা যোগাযোগ করেছে, কেন যোগাযোগ করেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।

Asansol Fire Incident : আসানসোলের গ্র্যান্ড হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিন
খুনের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উঠে এসেছে জমি সংক্রান্ত কারবার, প্রোমোটিং ও সুদের ব্যবসা। এই কারবারগুলির সঙ্গে নিহত অরবিন্দ জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এরই কোনও ব্যবসায় আক্রোশ থেকে খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান। খুনের ঠিক আগে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দুই ব্যক্তির সঙ্গে অরবিন্দ কথা বলছিলেন বলে জেরায় জানতে পেরেছে পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই বন্দুকবাজ আচমকা ওই হোটেলে ঢুকে সোফায় বসে থাকা অরবিন্দকে খুব কাছ থেকে নাইনএমএম পিস্তল থেকে পর পর গুলি করে। গুলির শব্দে ছুটে আসেন হোটেলের নিরাপত্তারক্ষী কালীপদ বাউড়ি। তাঁর দিকেও বন্দুক তাক করে বন্দুকবাজরা।

কাজ শেষ হলে হেঁটে হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যায় ওই দুই বন্দুকবাজ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হোটেলে ঢোকার আগে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খেয়েছিল দুই দুষ্কৃতী।
CCTV ফুটেজে দেখা গিয়েছে, হোটেলের পাশের রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে দুষ্কৃতীরা আপকার গার্ডেনের ভিতর দিয়ে যেতে থাকে।

কিন্ত জিটি রোডের পর থেকে তাদের আর দেখা মেলেনি। শুক্রবার রাতেই হোটেলে এসেছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তম। তিনি বলেন, “সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খুঁজে বার করা পুলিশের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ।”

Asansol Shootout : আসানসোলের হোটেলে শ্যুটআউটকাণ্ডে তদন্তে CID, অধরা ২ বন্দুকবাজ
কয়েক বছর আগে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর জুলি ভগত নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন অরবিন্দ। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি থাকতেন হোটেল সংলগ্ন আবাসনে। দুই পক্ষ মিলিয়ে তাঁর দুই ছেলে, দুই মেয়ে। ছোট মেয়ে আনু ও বড় ছেলে অভিষেক বাবার সঙ্গেই থাকতেন। বড় মেয়ে আস্তি ও ছোট ছেলে অনুভব থাকেন বেঙ্গালুরুতে। ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার দুপুরেই তাঁরা আসানসোলে চলে আসেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *