হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত ঘোষণা হতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা লোকজন পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। খুনের অভিযোগ পরিবারের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় বারুইপুর হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে নিয়ে আসেন আরও কয়েকজন যুবক। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিষয়টি জানতে পেরেই বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল মৃতদেহ রেখে চম্পট দেয় সঙ্গে আসা লোকজন।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় বারুইপুর থানায়। পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তের পর মৃতদেহের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। জানা যায়, মৃতের নাম রাকিব লস্কর(২৩)। সে পেশায় একজন অটোচালক।
এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে বারুইপুর থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খোদারবাজার নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা রাকিব। ক্যানিং-বারুইপুর রুটের অটোচালক তিনি।
রাকিবের বাবা সাকিব লস্কর জানান, ছেলে সকাল আটটার সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সন্ধে ৭টা পর্যন্ত তাঁকে অটোর মধ্যে দেখা গিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে তিনি জেনেছেন। তারপর আটটার পরে পুলিশের থেকে তিনি ছেলের মৃত্যুর খবর পান।
কোনও দুর্ঘটনার খবর এলাকার কোনও বাসিন্দাদের কাছ থেকে তিনি শোনেন নি। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন হয়েছে। খুন করা হয়েছে বলে তাঁর প্রাথমিক অনুমান। রাকিবের আত্মীয় সাইদুল মোল্লা বলেন দেহে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। খুন করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
আত্মীয় সাইদুল মোল্লা বলেন, “কার অটোতে ও ছিল সেটা বলা যাচ্ছে না। অনেক সময় বন্ধুদের অটো নিয়েও ঘোরে। দূঘটনা হলে ওঁকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেল কেন ? আমাদের সন্দেহ মেরে দেওয়া হয়েছে।”
বারুইপুর এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। কারা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল, সে সম্বন্ধে খোঁজখবর শুরু করা হয়েছে।