দিঘায় হাঙর ধরা পড়ার খবরে শোরগোল
দিঘায় হাঙর যদিও নতুন কোনও ঘটনা নয়, তবু হাঙর ধরা পড়ার খবর শুনে মোহনায় উপছে পড়ল ভিড়। মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়া অতিকায় হাঙরের সঙ্গে সেলফি নিতে ঢল নামে ছবি শিকারি পর্যটকদের । হাঙর নিয়ে অতি উৎসাহী পর্যটকেরা শুধু ছবি তোলাতেই থেমে থাকেননি। কেউ সোশাল মিডিয়া লাইভ শুরু করেন তো কেউ আবার রেকর্ড করেন ব্লগ।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার দিঘা মোহনার মৎস্যজীবীদের জালে এদিন ধরা পড়ে এই হাঙর। কম করে তার ওজন হয় ২০০ কেজি। হাঙরটিরকে মোহনা থেকে দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে নিয়ে আসার রাস্তায় রীতিমতো ভিড় জমে যায়।
আয়তনে পেল্লায় হাঙরের নিলাম
এদিন দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রের মূল আকর্ষণ ছিল এই হাঙর। যাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে যায় গোটা এলাকায়। মৎস্যজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, হাঙরটির ওজন প্রায় ২০০ কেজি। এদিন ২৯ হাজার টাকায় ২০০ গ্রাম ওজনের এই পেল্লায় হাঙ টি বিক্রি হয় বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার একটি মৎস্য কোম্পানি কিনে নেয় হাঙরটিকে (Sharks)।
উল্লেখ্য, যদিও হাঙর মাছ কেনা ও বেচা নিষিদ্ধ বলে জানা গিয়েছে। তবু এর উপযোগিতার কারণে নিয়ম নীতিকে শিকেয় তুলে সমুদ্র সৈকতে বিক্রি হল এদিনের পেল্লাই হাঙর। এই মাছের দেহাংশ বিভিন্ন ওষুধ তৈরির কাজে লাগে। ভেটকির মতো সামুদ্রিক মাছের বিকল্প হিসেবেও খাবারে ব্যবহার হয় হাঙরের। মুখরোচক মাছের আইটেমেও ব্যবহার হয় হাঙর।
দিন কয়েক আগে দিঘা মোহানায় এক বিশাল মাছ ধরা পড়ে। মৎস্যজীবী সূত্রে খবর, বিরল প্রজাতির ওই মাছ প্রায় তিন বছর পর দিঘা মোহানায় দেখা গিয়েছে। ২০০ কেজির বেশি ওজন ছিল মাছটির। সামুদ্রিক কই ভেটকি বলেই চেনে সকলে। মাছটি ৩৮ হাজার টাকায় নিলাম হয়।