জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, মহিলা রোগ বিশেষজ্ঞ, স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ সহ মোট ৯ ধরনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ২৫ জনের একটি দল দুদিন ধরে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করবেন। গোসাবা ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই ‘দুয়ারে ডাক্তার’ নামক চিকিৎসা পরিষেবার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। এদিন এই ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক প্রতীক সিং।
নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী এবার সুন্দরবনে আয়োজন করা হল এই স্বাস্থ্য শিবিরের। প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি SSKM হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেদিনই SSKM হাসপাতালে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেদিনের অনুষ্ঠান থেকেই তিনি SSKM হাসপাতালের কর্তাদের নির্দেশ দেন জুনিয়র ডাক্তারদের সপ্তাহে দুই-তিন দিন করে গ্রামে পাঠাতে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এতে গ্রামের লোকেরা কলকাতার ডাক্তারদের হাতের কাছে পেয়ে খুশি হবেন। নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সুযোগ পাবেন।
জুনিয়র ডাক্তারদেরও গ্রামে কাজ করার অভিজ্ঞতা হবে। এরপরই স্বাস্থ্যভবন মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যভবন থেকে বিভিন্ন হাসপাতালের রস্টার তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। সেইমতো কলকাতার ডাক্তাররা গ্রামে যেতে শুরু করেছেন। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়, ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে গ্রামে, গ্রামে পৌঁছে যাবে চিকিৎসকদের টিম। উত্তর ২৪ পরগনা ও পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত এলাকার দায়িত্ব নেবে আরজি কর।
কলকাতা মেডিক্যালের জন্য হাওড়া ও হুগলি, NRS-র জন্য নদিয়া ও বীরভূম, PG-র জন্য সুন্দরবনের মতো এলাকার পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্যজেলা, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ন্যাশনাল মেডিক্যালের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ধার্য করা হয়। নতুন এই কর্মসূচির কারণে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ অনেকটাই উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।