মন্ত্রীর অভিযোগ পত্রে উল্লেখ আছে, “সিঙ্গুরের কৃষক সেজে এক ব্যক্তি গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাকে চোর চিটিংবাজ ইত্যাদি বলে অপমান করেন। যাহা আমাদের কাছে গর্হিত অন্যায় ও অপরাধ মূলক কাজ বলেই মনে হয়।”
বেচারাম জানান, “উক্ত ব্যক্তির ঐ উক্তিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যাতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানহানি হয়েছে বলে মনে হয়। বেচারাম জানান, উক্ত ব্যক্তির এই অপরাধমূলক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে অনুরোধ জানাচ্ছি”।
সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ পত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে মন্ত্রী জানান, ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে সিঙ্গুরের নকল চাষি সেজে CPIM এবং BJP অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে এবং বিভিন্ন কুৎসিত মন্ত্যব করা হয়েছে এই নকল চাষিকে দিয়ে। দেখা যায় উনি চাষি নন। তিনি একজন CPIM-র ক্যাডার বলে অভিযোগ বেচারামের।
বিধায়ক বলেন, তিনি ফেক একাউন্ট থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে। যেহেতু ছিনামোর সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল তাই নির্বাচনের আগে এটাকে ছড়িয়ে দিয়ে সিঙ্গুরের মানুষের মধ্যে একটা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করতে চেয়েছিল। সেটা ঠিক নয় তা আজ সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল জয়লাভের পরেই মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর নামে এরকম অপমানজনক কথাবার্তার বিরুদ্ধে আমরা সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ জানলাম এবং তাকে গ্রেফতারের আবেদন করা হয়েছে। যদিও আমরা চিহ্নিত করতে পারেনি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্ত তথ্য পুলিশকে দিয়েছি। তারা নিশ্চিত সাইবার ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করবে।
তদন্ত শুরু করেছে সিঙ্গুর থানা। ফেক অ্যাকাউন্ট কীভাবে তৈরি হল, কারা এর পেছনে রয়েছে সে ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিশ। দ্রুত দোষীকে চিহ্নিত করে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।