জোর ব্যস্ততা ভেটাগুড়িতে। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে ভেটাগুড়ি। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছেছে কোচবিহার জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ, দিনহাটা পুলিশের এস ডি পি ও ত্রিদিব সরকার ও দিনহাটা থানার আই সি সুরজ থাপা সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
এই কর্মসূচির জেরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে র্যাফ। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫ হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা হাজির হবে বলে তৃণমুল নেতাদের দাবি।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ”যেভাবে সীমান্তে বি এস এফ রাজবংশী যুবক প্রেমকুমার বর্মনকে খুন করেছে সেই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে এদিন দিনভর বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে দফায় দফায় কর্মীরা হাজির হবে।”
কোচবিহারে মাথাভাঙায় জনসভা থেকে বিএসএফের গুলিতে নিহত কোচবিহারের যুবক প্রেম কুমারের বর্মণের মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পাশাপাশি নিশীথ প্রামাণিককেও কাঠগড়ায় তোলেন অভিষেক। নিহত যুবকের মা বাবাকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। নিশীথ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও কেন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিষেক।
পালটা নিশীথ প্রামাণিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে হুংকার দেন, ”উত্তরবঙ্গের মানুষের থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে রাজবংশীদের অপমান করে ভাইপো এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। ক্ষমতা থাকে বুকের পাটা থাকে তাহলে দিল্লিতে এসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ঘেরাও করে দেখান। কারণ আমার মন্ত্রণালয় বা অফিস দিল্লির নর্থ ব্লকে রয়েছে, আমার বাড়িতে নয়।”
একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bane) নাম ব্যবহার করে রাজনীতিতে এসেছেন আর সেই নামেরই ফায়দা তুলেছেন বলে দাবি করেন নিশীথ।