বড় বিপর্যয় আসার আগে যাতে স্থানীয় বাসিন্দারা উঁচু ও নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারে তার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সন্দেশখালি দু’নম্বর ব্লকের মনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আতাপুরের ঘটনা। হঠাৎই রবিবার সকালবেলা নদীর জলস্তর বেড়ে যায়।
রায়মঙ্গল ও ছোট কলাগাছি নদীর সংযোগের স্থলে জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। পাশেই রয়েছে আতাপুর, কোরাকাটি, মনিপুরী সহ একাধিক গ্রাম। নদীর পাশে রাস্তা হঠাৎই মাটির ধসে গিয়ে পাকা ইটের রাস্তা প্রায় ৩০০ ফুট নদী গর্ভে চলে যায়।
সেই সময় কিছু গ্রামবাসী ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছিলেন। রাস্তা হঠাৎই ধসে যেতে দেখে হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন তাঁরা। ভয়ে বাসিন্দারা যে যার মতো ছুটে পালাতে থাকে।
এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। রাস্তা ধসে যাওয়ার বিষয়ে সেচ দফতর থেকে শুরু করে BDO সহ মনিপুর পঞ্চায়েতকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, নদীর জল স্তরে বেড়ে গিয়ে হঠাৎই ধস নামতে শুরু করে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা যান এলাকা পরিদর্শন করতে।
যেসব গ্রামের মানুষ নদীর নিকটবর্তী এলাকায় রয়েছে, তাদের সতর্ক করা হয়েছে। যাতে বড় বিপর্যয় আসার আগে তারা ত্রান শিবির বা উঁচু স্থানে চলে যেতে পারে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যত সময় যাচ্ছে, ততো ভূমিক্ষয় বেড়ে চলেছে। আরও বেশি অংশ জুড়ে ভাঙনের আশঙ্কা বাড়ছে। যার কারণে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
ভাঙনেরনিকটবর্তী গ্রামগুলিতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস রয়েছে। ভাঙন আরও বাড়তে থাকলে পরিবার, জিনিসপত্র নিয়ে তাঁরা কোথায় উঠবেন সেই নিয়ে চিন্তায় রয়েছে গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি, জলের তোড়ে ঘর ভেসে গেলে সর্বস্ব খোয়ানোর ভয় রয়েছে তাঁদের মধ্যে।
নদীবাঁধ মেরামতির যাতে দ্রুত শুরু কড়া যায়, সে ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দ্রুত বাঁধ মেরামতির ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।