বীরভূমের সিউড়ির ১ নম্বর ব্লকের পাতাডাঙ্গা বা পতণ্ডা গ্রামে কৌশিক ঘোষের ৫১ শতক জমি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সিউড়ি থেকে বক্রেশ্বর যাওয়ার রাস্তা ধারেই রয়েছে এই জমি। সূত্রের খবর, এই জমিটি ২০২১ সালে ১৮ লাখ টাকার বিনিময়ে কিনেছিলেন কৌশিক ঘোষ।
আর এই জমি কেনার জন্য মধ্যস্থতা করেছিলেন সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের আরেক তৃণমূল নেতা ‘ডিস্কো’। যিনি সিউড়ি বিধানসভার এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত রাজনৈতিক মহলে।
শুক্রবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে ৬ এজেন্ট বা মধ্যস্থতাকারীকে গ্রেফতার করে CBI আধিকারিকরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কৌশিক ঘোষ। কৌশিকের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়।
এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। এই কৌশিকই আবার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ঘনিষ্ঠ বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। CBI সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় দিল্লিতে একটি পেট্রোলিয়াম সংস্থায় মোটা মাইনের চাকরি করতেন কৌশিক।
কিন্তু, সেটা ছেড়ে দিয়ে চাকরির মিডলম্যান হিসাবে কাজ শুরু করেন। গ্রুপ-সি থেকে গ্রুপ-ডি, বিভিন্ন চাকরি বিক্রির ক্ষেত্রে মিডলম্যান হিসাবে কাজ করেছেন কৌশিক ঘোষ। এমনটাই দাবি, CBI-র। ২০২১ সালে এলাকায় তৃণমূলের প্রচারের বেশিরভাগ ফেস্টুন, পোস্টারে প্রচারক হিসাবে লেখা থাকত কৌশিক ঘোষের নাম।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় চন্দন মণ্ডলকে। এরপর গ্রেফতার করা হয় বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে। CBI সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে রঞ্জন।
তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। কীভাবে এই চক্র চলত, কার কার কাছে টাকা যেত, কারা মিডলম্যান ছিল, সেই সম্পর্কে চন্দনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। এই রঞ্জনের নাম প্রথম জানা যায় বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক এবং CBI-র প্রাক্তন কর্তা উপেন বিশ্বাসের কাছে।