দিদির সুরক্ষা কবচে ডিএ-র দাবি
রবিবার বারুইপুর মাদারাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আয়োজিত হয়েছিল দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির। সেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এলাকায় ঘোরেন এবং ঈশান চন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে পৌঁছন। তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন। আর তার মাঝেই সরকারি এই স্কুলের শিক্ষিকারা বিধানসভার স্পিকারের কাছে ডিএ নিয়ে দাবি জানান। তিনি সহাস্যে বিষয়টি এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ডিএ-র দাবি ন্যয্য হলেও আরও অন্য স্তরের মানুষও রয়েছেন। তাদের কথাও ভাবতে হবে।” এমনকী তিনি আগামী ২০ এবং ২১ তারিখ শিক্ষিকাদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন।
DA-র দাবিতে কর্মবিরতি
কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে আগামী সোম এবং মঙ্গলবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এরপরেই সরকারি দফতরগুলিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ করল নবান্ন। ওই দুই দিন কাজে না এলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীদের শো-কজও করা হতে পারে। শনিবার এমনটাই স্পষ্ট জানিয়েছে নবান্ন। ২০ এবং ২১ তারিখ প্রথম বা দ্বিতীয় অর্ধে ছুটি নেওয়া যাবে না। কোনও ক্যাজুয়াল লিভ-ও নিতে পারবেন না তাঁরা। যদি এই দু’দিন কোনও সরকারি কর্মী অনুপস্থিত থাকেন সেক্ষেত্রে তা ‘ব্রেক ইন সার্ভিস’ বিবেচিত হবে এবং তাঁর অনুপস্থিত দিনের বেতনও কাটা যাবে। যদি শো কজের জবাব না দেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে। পাশাপাশি কোনও সরকারি কর্মী হাসপাতালে ভর্তি থাকলে, পরিবারে কোনও শোকের ঘটনা ঘটলে বা ১৭ তারিখের আগে থেকে অসুস্থতার জন্য ছুটি নিয়ে থাকলে, চাইল্ড কেয়ার লিভ, মাতৃত্বকালীন ছুটি সহ আরও কিছুক্ষেত্রে ছাড় থাকছে। এই দুই দিন যদি কোনও সরকারি কর্মী কাজে না আসেন সেক্ষেত্রে তাঁর অফিস হেড বা কন্ট্রোলিং অথরিটি তাঁকে শো কজ করতে পারবেন।