আধুনিক যুগে প্রসাধনী সামগ্রির বাজার রমরমা। একাধিক নামী দামি কোম্পানির পরীক্ষিত প্রোডাক্ট বাজারে আসে। তা হাতে হাতে বিক্রিও হয়ে যায়। কিন্তু, এই চাহিদার সুযোগ নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। এরপরেই তদন্তে নামে তারা।
কীভাবে চলত নকল প্রসাধনীর কারবার?
জানা গিয়েছে, বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানেই তৈরি করা হত নকল প্রসাধনী। কোনওভাবেই যাতে দুষ্কৃতীরা ধরা না পড়ে সেজন্য কিছুদিন অন্তর বাড়ি পরিবর্তন করা হত। দু’তিন দিন আগে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দনগরের বাজারমাঠ এলাকায় দেবু সাউ এর বাড়ি ভাড়া নেয় অভিযুক্তরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সুগন্ধি তেল ও বডি লোশন উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত বিভিন্ন প্রসাধনী দ্রব্যের ফেলে দেওয়া বোতল তারা সংগ্রহ করত। তারপর সেই বোতল পরিষ্কার করে তাতে বিভিন্ন নামী সংস্থার লেবেল সেঁটে দেওয়া হত। এরপর খালি বোতলে নকল প্রসাধনী ভরে তা সিলপ্যাক অবস্থায় পৌঁছে যেত নানান দোকানে।
এভাবেই রমরমিয়ে চলত ব্যবসা। নকল প্রসাধনীর ব্যবসা করে ফুলে ফেঁপেে উঠছিল ওই অসাধু ব্যবসায়ীরা। ঘটনার তদন্তে নেমে অজয় চক্রবর্তী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত লেকটাউনের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ৬৩ ও ৬৫ কপিরাইট অ্যাক্ট এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৮২ ৪৮৩ ৪৮৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই যুক্ত আছে বলে মনে করছে পুলিশ। অজয় চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এদিকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে অজয়ের দাবি, “আমি কিছুই জানতাম না। আমি এখানে নতুন এসেছি। এই দোকান আমার নই।”
অন্যদিকে, ওই ভাড়া বাড়ির মালিক সোমা সাউ বলেন, “ চিপসের গোডাউন করার জন্য ওরা বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল। আমি কিছুই জানি না। শুক্রবার ওরা আসে। শনিবার ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।” নকল প্রসাধনী ব্যবহারে ক্ষতি হতে পারে অনেকেরই। ফলে বিষয়টি ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।