Adenovirus Disease : চিন্তা বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাস! সতর্কতা প্রচার শুরু জলপাইগুড়ি হাসপাতালে – jalpaiguri district health department takes measures to fight with adenovirus


West Bengal News : অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে চিন্তায় জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। কলকাতা সহ একাধিক জেলাতেও অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়াচ্ছে। আশঙ্কার চিত্র জলপাইগুড়ি হাসপাতালের বহির্বিভাগে।

চিকিৎসা করাতে আসা শিশুদের মধ্যে কেউ ১৫ দিন, কেউ এক মাস, কেউ আবার দেড় মাস ধরে ভুগছে সর্দি, কাশি ও জ্বরে। কারও আবার শ্বাসকষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, হাসপাতালের ওয়ার্ডে সেই অর্থে চাপ না থাকলেও বহির্বিভাগের বাইরে লম্বা লাইন রয়েছে।

Adenovirus Symptoms : অ্যাডিনো ভাইরাসে রাজ্যে শিশুর মৃত্যু, জেলাগুলিকে সতর্কবার্তা স্বাস্থ্য দফতরের
ভাইরাসের নমুনা পাঠান হয়েছে পরীক্ষার জন্য। আগামী দিনে কী ভাইরাস জানা যাবে পরীক্ষার ফল আসার পরেই। তবে ইতিমধ্যে অ্যাডেনো ভাইরাস নিয়ে বেশ কিছু সতর্কতা জারি করা হয়েছে স্বাস্থ ভবন থেকে। যা নিয়ে প্রচার শুরু করতে চলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বহির্বিভাগ চিকিৎসা করাতে আসা শিশুদের মধ্যে কেউ পনেরো দিন, কেউ এক মাস, কেউ আবার দেড় মাস ধরে ভুগছে সর্দি, কাশিতে। রয়েছে জ্বর। অভিভাবক বিপ্লব চক্রবর্তী জানান, তার ছেলে জ্বরে ভুগছে গত এক থেকে দেড় মাস থেকে।

ইতিমধ্যে তিনি বেসরকারি, সরকারি ভাবে ডাক্তার দেখিয়েছেন। ওষুধ খাওয়ানোর পর কয়েকদিন ঠিক থাকে, আবার পুনরায় জ্বর সর্দি, কাশি। মাঝে মধ্যে শ্বাসকষ্ট, নাক দিয়ে জল পড়া শুরু হয়।

Burdwan Medical College : অজানা জ্বর নিয়ে হাসপাতালে একের পর এক শিশু, বর্ধমানে জুড়ে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক
একই বক্তব্য অভিভাবিকা পুজা মণ্ডলের। তিনি জানান, গত ১৫-২০ দিন থেকে তার শিশু পুত্রের জ্বর সর্দিকাশি। নাক, চোখ দিয়ে জল পরছে। বহির্বিভাগর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ভাইরাস আক্রমণের জন্যই শিশুরা এই ভাবে ভুগছে। কিন্তু অ্যাডিনো ভাইরাস কিনা সেটা এখুনি তারা বলতে পারছেন না।

মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের MSVP কল্যান খাঁ বলেন, “যেহেতু কলকাতা এবং আশেপাশে এলাকায় অ্যাডিনো ভাইরাস পাওয়া গেছে তাই একান থেকে কিছু নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছে। রিপোর্ট এলেই বিষয়টি পরিস্কার হবে।”

তবে স্বাস্থ দফতর থেকে কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে জ্বরের সঙ্গে বমি, পাতলা পায়খানা, শ্বাসকষ্ট, খিদে কমে যাওয়া এই লক্ষণ থাকলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

Adenovirus : নয়া আতঙ্ক অ্যাডিনো ভাইরাস, কী গাইডলাইন স্বাস্থ্য ভবনের?
নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, শিশুর তিন থেকে পাঁচ দিনের জ্বর হলেও হাসপাতালে নিতে হবে। এছাড়া জনবহুল এলাকায় গেলে মাক্স ব্যবহার করাতে হবে। এছাড়া শিশু এই ধরনের জ্বরে ভুগলে স্কুলে পাঠানো থেকে বিরত থাকতে হবে বলে জানান হচ্ছে। যদি হাসপাতালের ওয়ার্ডের শিশু ভর্তির চাপ বাড়ে সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে বলেও বক্তব্য MSVP-র।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *