সেই সময়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উলটে যায় রাজ্য সড়কের ধারে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘটনার সময় বাসে ছিলেন প্রায় ৬০ জন যাত্রী। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান বাসের যাত্রীরা। ঘটনায় কম বেশি চোট পান প্রায় কুড়ি জন।
স্থানীয়দের তৎপরতায় এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দাসপুর থানার পুলিশ (Daspur Police Station)। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সাত সকালে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় একদিকে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাস যাত্রীদের মধ্যে অন্যদিকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী এই দিন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে জানান, “সকালের দিকে এখানে দৃশ্যমানতা কম ছিল। তাই লরিটি হঠাৎ বাসটিকে চেপে দিলেও বাস চালক আগে থেকে বুঝতে পারেননি। তার জেরেই ঘটে গেল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এই জায়গাটি এমনিতেই দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে পরিচিত। তাও প্রশাসনের তরফে রাস্তায় কোনও স্পীড ব্রেকার বসানো হয় না”।
এই বিষয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের এক যাত্রী জানান, “বাসের চালক ঠিক ভাবেই চলছিলেন। হঠাৎ করে ওই লরিটি পিছন থেকে এসে বাসটিকে ধারে চেপে দেয়। বাসের চালক সেই সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন, আর বাসটি সড়কের ধারে উলটে যায়। আমাদের কপাল খুব ভালো যে অল্পের ওপর দিয়ে বেঁচে গিয়েছি। এই দুর্ঘটনা আরও ভয়াবহ হতে পারত”।
কয়েকমাস আগে এই দাসপুর এলাকার কাছেই একটি বাস দুর্ঘটনায় একইরকম ভাবে প্রায় ৫০জন বাস যাত্রী আহত হয়েছিলেন। একটি যাত্রী বাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাষের জমতে পালটি খেয়ে পড়ে যায়। মেদিনীপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী বোঝাই বাসটির গন্তব্য ছিল চন্দ্রকোণা।
নির্ধারিত সময়ে যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিল বাসটি। রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎই দাসপুরের কাছে একটি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার থেকে পালটি খেয়ে আলু চাষের জমিতে উলটে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখের সামনেই ঘটে দুর্ঘটনাটি।