স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘরের দেওয়াল গুলিতে ধরেছে ফাটল। উপরে গজিয়েছে আগাছা। ভেঙে গিয়েছে জানলার কাচ। এমনকী প্রতিনিয়ত ছাদ থেকে চাঙর খসে পড়ছে। এই বেহাল দশার কারণে সমস্যার মধ্যে পড়ছেন এখানে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসা বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, “কাছাকাছি কোনa হাসপাতাল না থাকার কারণে আমাদের একমাত্র ভরসা এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। নইলে অনেকটা দূরে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করতে যেতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থা বেহাল। যদি কোন অঘটন ঘটে যায় তার দায় কে নেবে? যদি সংস্কার করে নতুনভাবে করা হয় তাহলে ভালো হয়। চিকিৎসা করাতে এসে ভয় লাগে, না এসে কোনও উপায় নেই।”
ইটাচুনা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক অর্পণ পুরকাইতও গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “হাসপাতালের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। আউটডোর, ভ্যাকসিন রুম সহ বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। আমরা যে ঘরে বসে চিকিৎসা করছি সেটাতেও ফাটল ধরেছে। ভয় লাগে কখন মাথায় চাঙর ভেঙে পড়বে। গোটা ঘটনার কথা BMOH-কে জানানো হয়েছে।”
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পান্ডুয়ার বিজেপির কনভেনার অশোক দত্ত বলেন, “সারা রাজ্যের সঙ্গে হুগলিতেও স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল অবস্থা। খন্যান সহ পান্ডুয়ার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থা বেহাল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতোই আগামী দিনে তৃণমূল ভেঙে পড়বে।”
পালটা পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ধনিয়াখালি তে স্টেট জেনারেল হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। আগে মানুষ ওষুধ পেত না তৃণমূল সরকার আসার পরে মানুষ ওষুধ পাচ্ছে। “