আহত ব্যক্তির নাম কার্তিক ভাওয়াল। আহত ব্যক্তিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাতির তাণ্ডবের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন মোরাঘাট রেঞ্জ ও বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীরা।স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোর রাত থেকে হাতির তাণ্ডব শুরু হয়েছে। দল ছুট হাতির তাণ্ডবে ক্ষতি হয়েছে গৃহস্থের বাড়ির সীমানা প্রাচীর।
ক্ষতি হয় চাষের জমির ফসল। শুধু তাই নয় হাতির আক্রমণে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক ভাওয়াল। তাঁকে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারণে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Jalpaiguri Super Speciality Hospital) স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
হাতি দুটি ঢুকে পড়ে ধূপগুড়ি পুরসভা এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ড এবং তার পার্শ্ববর্তী বাড়ঘড়িয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ডাংঢরি সরকার পাড়া এলাকায়। এদিকে হাতির হানার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বন দফতরের মোরাঘাট রেঞ্জ ও বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে যায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
বন বিভাগ সূত্রে খবর, পাশের সোনাখালির জঙ্গল থেকে দলছুট হয়ে দুটি হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। হাতি দুটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জানা যায়, সোমবার ভোর রাতে দুটি হাতি প্রথমে ঢোকে পুরসভা এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে তাণ্ডব চালায়।
তাণ্ডবে ভেঙে পড়ে স্থানীয় দুই জন বাসিন্দার সীমান প্রাচীর। ওই এলাকার তাণ্ডবের পরে, হাতি দুটি ঢুকে পরে পাশ্ববর্তী বাড়ঘড়িয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতে এলাকার ডাংধরির সরকার পাড়া এলাকায়। ওই জায়গায় হাতি দুটি চাষের জমিতে তাণ্ডব চালায়।
এদিকে এলাকায় হাতি ঢোকার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু তাই নয় হাতি দেখতে ভিড় জমতে দেখা যায়। প্রচুর উৎসুখ জনতা হাতি দেখতে জমা হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছে বন দফতরের মোরাঘাট রেঞ্জ ও বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীরা।
শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত দক্ষিণ খয়েরবাড়ী এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতি দুটি। যত দ্রুত সম্ভব হাতি দুটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করছে বন কর্মীরা। কোনও স্থানীয় বাসিন্দার যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।