লালবাজারের গুণ্ডা দমন শাখা সূত্রে খবর, ধৃত রাজেশ কাসেরা ওরফে রাজেশ আগরওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোন উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমাণ নগদ তাঁর কাছে রয়েছে, তা জানান চেষ্টা চলছে। গাড়িতে অত টাকা নিয়ে তিনি কোথায় যাচ্ছিলেন, তাও সঠিকভাবে বলতে পারেননি রাজেশ। উদ্ধার হওয়া ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিলগুলির নম্বর মিলিয়েও দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে তল্লাশি চালানো হচ্ছে পার্ক স্ট্রিটের একটি অফিসেও। ধৃত রাজেশ নিউ আলিপুরের নলিনীরঞ্জন স্ট্রিটের বাসিন্দা। সেখানে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানোর কথা রয়েছে। কলকাতায় উদ্ধার হওয়া এই যকের ধনের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। টাকার মেশিন নিয়ে নগদ গোনার কাজ চালাচ্ছে লালবাজারের গোয়েন্দারা।
সম্প্রতি গড়িয়াহাট থেকেও একটি গাড়ির মধ্যে নগদ টাকার বান্ডিল উদ্ধার করা হয়েছিল। গাড়িতে করে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ। তখনই এই টাকা উদ্ধার হয় টাকা। প্রায় এক কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের STF। তার আগে বালিগঞ্জে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ইডির তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে মনজিত সিং জিট্টা নামের এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। যা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।
শুরুটা হয়েছিল গত বছর জুলাই মাসে। দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ এবং তারপর বেলঘড়িয়ায় দু’টি আবাসের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে ছিল দু’টি ফ্ল্যাট। পরবর্তীতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারও করা হয় পার্থ এবং অর্পিতাকে। ED এবং CBI এই অভিযান চালিয়েছিল।