ধৃত ব্যক্তি মিল্কি হাইস্কুলের ক্লার্ক (Malda Milki High School) পদে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি কয়েক বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নেন খালেক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে স্কুলে শিক্ষাকর্মীর চাকরি করার পাশাপাশি মিল্কি এলাকায় একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমে স্কুলের কর্ণধারও ছিলেন ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি এক সময় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের (Trinamool Congress) সক্রিয় কর্মীও ছিলেন। জেলার একাধিক নেতানেত্রীদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেও জানা গিয়েছে। মোটা টাকায় চাকরি বিক্রির এজেন্ট হিসেবে এদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাঁর বাড়িতে গেলেও পরিবারের কোনও সদস্যেরও দেখা মেলেনি।
পরিবারের সদস্যদের কাউকে ডাকাডাকি করেও সাড়া শব্দ মেলেনি। যদিও আব্দুলের গ্রেফতারির খবর শুনে হতবাক পাড়া পড়শিরা। প্রতিবেশীদের দাবি, মানুষ হিসেবে এলাকায় তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখতেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগেই তিনি এখানে বাড়ি করে এসেছিলেন। চাকরি চুরির ঘটনায় তাঁর নাম জড়ানোয় হতাশ এলাকাবাসীরা।
আব্দুল খালেকের (Abdul Khalek) গ্রেফতারির পর থেরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গোটা সঙ্গে তৃণমূল যোগ টেনেছে বিজেপি (BJP)। দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “অভিযুক্ত আব্দুল খালেক একটি স্কুলের সাধারণ ক্লার্ক পদে চাকরি করতে। তৃণমূলের ছত্রছায়া বহু মানুষের থেক চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তিনি তুলেছেন। কিছু চাকরি হয়েছে এবং কিছু চাকরি হয়নি। প্রতারণা করার সেই টাকা দিয়েই তাঁর বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি। প্রশাসন সব জেনেও চুপ করেছিল।”
যদিও আব্দুলের তৃণমূল যোগের কথা অস্বীকার করেছে শাসকদল। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু। তিনি বলেন, “কেউ কোনও অপরাধ করলেও তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আব্দুল খালেককে আমার কোনওদিন কোনও দলীয় কর্মসূচিতে দেখিনি।”