ফেসবুক বিস্ফোরক পোস্টে সুজাতা সৌমিত্রের নীতিগত চরিত্র নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনি এমনকী মানুষ আগামী নির্বাচনে তাঁকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেবেন বলেও দাবি করেছেন সুজাতা। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “বিধবার দৌলতে আগামীদিনে জুটবে না পরনে কাছা/তাই MP বুঝেশুনে মরণের আগেভাগেই গলায় দিয়েছে গামছা।। আগে আগে দেখো ইয়ে পাগল কা হোতা হ্যায় ক্যায়া।”
ফেসবুক পোস্টে নাম না করেই বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদকে একজন বদ্ধ পাগল, মাতাল, চরিত্রহীন, লম্পট, শিলিগুড়ির বিধবাকে নিয়ে ফূর্তি করা, তারকাটা, দলবদলু, দুর্নীতিগ্রস্ত, ধান্দাবাজ, অন্যের ঘাড়ে চেপে শেষবারের মতো জেতা এম.পি বলেও কটাক্ষ করেন সুজাতা।
সুজাতার এই ফেসবুক পোস্ট সামনে আসার পর থেকে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আগেও একাধিকবার সৌমিত্র চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন সুজাতা। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও তুলেছিলেন।
সুজাতার সঙ্গে সৌমিত্রর সম্পর্কে টানাপোড়েন নিয়ে লোকসভায় অধিবেশন চলাকালীন তাঁকে কটাক্ষ করেন দমদমের প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, “উসকা বিবি ভাগ গ্যায়… ইসলিয়ে উসকা তারা কাট গ্যায়া।” সৌগতর এই মন্তব্যের পরেও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সুজাতা।
সম্প্রতি সুজাতা জানিয়েছিলেন, সৌমিত্র অত্যাচারে বাধ্য হয়ে মাঝরাতে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। যখন তাঁর কেউ ছিল না, তখন তাঁর পাশে দাঁড়ান মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী সৌগত রায়ে তাঁকে অপমান করার জন্য ওই আচরণ করার জন্য ওই মন্তব্য করেননি বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কুণাল ঘোষ ও সৌগত রায়ের হাত ধরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুজাতা। স্ত্রী তৃণমূলে যোগ দিতেই সংবাদমাধ্যমে চোখের জল নিয়ে তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন সৌমিত্র। পরবর্তী সময়ে সুজাতা তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান। সেই মামলা এখনও চলছে। স্বামী প্রাক্তন হওয়ার আগেই সুজাতার এই বিস্ফোরক পোস্টে হতবাক সকলে।