পরিবেশ দূষণ পৌঁছেছে ভয়াবহ জায়গায়। প্রশাসনিক নজরদারি থাকলেও পরিবেশরক্ষায় স্থানীয় মানুষের তৎপরতার যে কোনও বিকল্প নেই, সেটাই আবার প্রমাণ করলেন দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সদস্যরা। দুলকি গ্রামের ওই হোটেলটির নির্মাণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁরা জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হন।
দুলকি গ্রামে দত্তা নদীর পাড়ে প্রায় সাড়ে আট একর জায়গায় তৈরি হয়েছিল হোটেলটি। উপকূলরক্ষা আইনকে নস্যাৎ করে হয়েছে এই নির্মাণ। দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের দায়ের করা মামলায় আদালত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়। পরিদর্শনকারী প্রতিনিধিরা আদালতকে জানায়, হোটেলটির ৭৫ শতাংশের বেশি নির্মাণ নিয়ম মেনে হয়নি। 
কোস্টাল রেগুলেশন জোনের নো ডেভেলপমেন্ট জোন এলাকাতেই হয়েছে হোটেলটির ৬৫ শতাংশের বেশি অংশ। এর পরই ওই হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার চূড়ান্ত রায়ে জাতীয় পরিবেশ আদালত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে নিয়ে তৈরি একটি বিশেষ কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে তিন মাস অর্থাৎ ১৪ মে-র মধ্যে হোটেলটি ভেঙে ফেলতে হবে।

 
                     
                     Sundarban News : সুন্দরবনের মাতলা নদীর চরে চলছে ম্যানগ্রোভ চুরি! ক্ষোভ স্থানীয়দের
Sundarban News : সুন্দরবনের মাতলা নদীর চরে চলছে ম্যানগ্রোভ চুরি! ক্ষোভ স্থানীয়দের