কাজের কারণে এখন কলকাতাতে থাকলেও নীলাদ্রি ঘোষের আদি বাড়ি ধনিয়াখালির মান্দারা এলাকায়। নীলাদ্রি ঘোষ নয় মান্দারা এলাকায় রাজু বলেই বিখ্যাত দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত। টিভির পর্দায় তাঁর গ্রেফতারির খবর দেখে হতভম্ব পাড়ার মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, ”পাড়ার ছেলে রাজু এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত বিশ্বাসই হচ্ছে না।”
নীলাদ্রি ঘোষের গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাড়ায় চাঞ্চল্য। এদিন নীলাদ্রির ঠিকানায় পৌঁছে দরজায় নক করলেও কেউ দরজা খোলেনি। জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলের পর থেকেই নিজেদের গৃহবন্দি করে রেখেছে তাঁর পরিবার।
অন্যদিকে, পাড়ার সহপাঠীর দাবি,”ও খুব ভালো ছেলে। ভালো ক্রিকেট খেলত। একসঙ্গে খেলতাম। কিন্তু ওকী কাজ করত তা আমার জানা নেই।” পাড়া ছেড়ে যাওয়ার পর বন্ধুর সঙ্গে আর তেমন যোগাযোগ নেই দাবি করলেন একসময়ের ক্রিকেট খেলার বন্ধু। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তি যে তাঁরই পরিচিত রাজু তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না নিলাদ্রী ঘোষের ছোটবেলার খেলার বন্ধু।
অন্যদিকে, ধৃত নীলাদ্রির পাড়ার এক বয়োজেষ্ঠ ব্যক্তি বলেন, ”কে কেমন তা কী কয়েক ঘণ্টার দেখা সাক্ষাতে বোঝা যায়? পাড়ার ছেলের নাম এমন কেলেঙ্কারিতে জড়ানোয় পাড়ার নাম বদনাম হয়েছে। ইদানীং ও আসত মাঝেসাঝে এক দু দিন থেকেই আবার ফিরে যেত। তাই কী করে আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে ওকে ভালো ছেলে বলেই চিনতাম।”
জানা গিয়েছে, টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে নীলাদ্রির। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করেই উঠে আসে নীলাদ্রির নাম। বহুদিন ধরেই তদন্তকারী আধিকারিকদের নজরে ছিলেন তাপস। তাঁকে জেরা করেই মেলে কুন্তল ঘোষের মতো একাধিক নেতার নাম। রবিবার তাপস মণ্ডলের গ্রেফতারির পরই নীলাদ্রিকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার বাগদার রঞ্জন থেকে তাপস মণ্ডল পর্যন্ত। প্যান্ডোরা বক্সের মূল উৎসের খোঁজে ঝাঁপাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ক্রমশই খুলছে নিয়োগ দুর্নীতির জট। উঠে আসছে একের পর এক নাম।