মাত্র কিছুদিন আগেই গঠিত হয়েছে অঞ্চল কমিটি। আর এই তৃণমূল কমিটির সদস্য ও গোঘাট এক নং ব্লকের বর্ষীয়ান নেতৃত্বদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে বর্তমান গোঘাট ১ নং ব্লকের সভাপতি বিজয় রায় নাকি তাঁর কাছের মানুষকে গোঘাট অঞ্চল কমিটির সভাপতি করেন। এর প্রতিবাদেই তৃণমূল কংগ্রেস একাংশ এদিন বিক্ষোভের সামিল হন।
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা মনে করেন, মানিক মাল শুধুমাত্র বর্তমান সভাপতির বন্ধু হওয়ার কারণে দায়িত্ব পেয়েছেন। তাছাড়া উনি এই মুহূর্তে গোঘাট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পদে আছেন। তা সত্ত্বেও কিভাবে উনি অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
অঞ্চল সভাপতি নির্বাচনের পিছনেও কাটমানির গন্ধ আছে কিনা সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে গোঘাট অঞ্চলের প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বলেন, “সেটা নিশ্চিত বলতে পারব না। তবে কিছু তো একটা ব্যাপার আছেই”। কি সেই ব্যাপার সেটা অবশ্য প্রকাশ্যে আসেনি।
যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃনমূল কর্মী জানান, “মোটা টাকার খেলা রয়েছে এর পিছনে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অনেকদিন আগেই বলে দিয়েছিলেন যে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ রাখতে হবে।
কিন্তু এক্ষেত্রে সেই কথা মানা হয়নি। উনি এই মুহূর্তে গোঘাট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পদে আছেন। তা সত্ত্বেও কিভাবে উনি আবার অঞ্চল সভাপতির পদ পেলেন”?
এই প্রশ্নই তুলে দিয়েছেন ওই তৃনমূল কর্মীরা। তিনি আরও বলেন, “আমরা এই বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানাবো। আর বলব এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে”। শুধু গোঘাটই নয়, হুগলি জেলার অনেক জায়গাতেই সম্প্রতি প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল।
যা সামাল দিতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে তৃনমূল নেতৃত্বকে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে গোঘাট রাজনীতিতে এই ডামাডোল নিঃসন্দেহে বিরোধীদের বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।