প্রত্যেকেই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং BJP কর্মী হিসেবে পরিচিত। এই খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন সাধনের ভাইপো খোকন মন্ডল। এদিন সাধনের মা ও বোন অভিযোগ করে বলেন, “রাজনৈতিক কারণেই এই খুন। সাধন এলাকায় দক্ষ সংগঠক ছিল। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে”।
তৃণমুল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) আঁধারমানিক অঞ্চলের সভাপতি পিন্টু সর্দার অভিযোগ করেন, “একাধিকবার সাধনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সাধনকে BJP-তে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সাধনকে দলে নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করতে চাইছিল BJP”।
এই বিষয়ে BJP-র ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু পালটা বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই খুনের ঘটনা। এর সঙ্গে দূরদুরান্ত পর্যন্ত BJP-র কোনও সম্পর্ক নেই”। এলাকা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল বলে তার অভিযোগ। তিনি আরও বলেন, “পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করুক”।
এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহন দফতরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মন্ডল বলেন, “এলাকায় দক্ষ সংগঠক ছিল সাধন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাকে খুন করে এলাকায় BJP মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে সংগঠনের ভিত শক্ত করতে চাইছে। এই ঘটনার পিছনে BJP, CPIM ও কংগ্রেসের যোগ আছে। আগে এলাকায় যারা CPIM করত তারাই এখন BJP করছে। তারাই এই খুন করিয়েছে”।
বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দলের কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি বলেন, “পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃতদেহ আজ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে”।
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট রয়েছে। যদিও পুলিশের বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, খুনের বদলা নিতেই খুন করা হয়েছে সাধন মণ্ডলকে। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই দাবি পুলিশের। সুপারি কিলার লাগিয়ে আঁধারমানিক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান।