পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৫০০ বেশি লোকাল ট্রেন যাতায়াত করে। সাধারণত এই ট্রেন চালান চালক এবং ট্রেনে পিছনের কামরায় থাকেন গার্ড। ট্রেনে পরিচালনা করার দায়িত্ব থাকে ট্রেন ম্যানেজার বা গার্ডদের উপর। ট্রেন ম্যানে ম্যানেজারদের জন্য তৈরি হওয়া নতুন ডিউটি রোস্টার ঘিরের বেঁধেছে জট। রেল কর্তৃপক্ষের তৈরি করা এই রোস্টার নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
নতুন রোস্টারে কাজ করতে নারাজ হাওড়া ডিভিশনের প্রায় ৫০০ ট্রেন ম্যানেজার। সেই কারণে রবিবার বেশ কিছু লোকাল ট্রেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টরদের দিয়ে চালানো হচ্ছে বলে ট্রেন ম্যানেজারদের অভিযোগ। রোড লার্নিং না জানা সত্ত্বেও কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গার্ডরা।
অল ইন্ডিয়া গার্ড কাউন্সিলের হাওড়া শাখার সম্পাদক প্রবীর সাহা এই প্রসঙ্গে বলেন, “রেলওয়ে বোর্ডের সার্কুলার অনুযায়ী কাজের পর ন্যূনতম ১৬ ঘণ্টা গার্ডদের বিশ্রাম পাওয়ার কথা। রেল কর্তৃপক্ষই এই নিয়ম তৈরি করেছে। নতুন রোস্টারে বিশ্রামের সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। শূন্যপদে নিয়োগ না করে গার্ডদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করিয়ে নেওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। যাঁদের ট্রেন পরিচালনার করার কোনও অভিজ্ঞতা নেই, তাদেরকে দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে।”
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “সুষ্ঠভাবে ট্রেন চলাচল ও যাত্রীর সুরক্ষা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। সেটা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। অন্য যে বিষয়ে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, সেই নিয়ে আলোচনা চলছে।”
সোমবার রেলের কর্মী সংগঠন ও গার্ডরা রেল দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। অতিরিক্ত সময় কাজ করার দাবিতে অনড় গার্ডরা। এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের প্রিন্সিপ্যাল চিফ অপারেশন ম্যানেজার প্রভাস দানসানা জানিয়েছেন, সব দিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্রামের জন্য ন্যূনতম যে সময় দেওয়া সম্ভব সেটা দেওয়া হবেও বলেও জানিয়েছেন তিনি।