International Mother Language Day : সরকারি কাজে বাংলার ব্যবহার অধরাই – international mother language day celebration but the use of bengali language in governmental works rare


তাপস প্রামাণিক
বলতে খুব ভালো লাগে, উচ্চকিত স্বরে গাওয়াও হয়- মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা! কিন্তু এই একটাই দিনে। কেবল আজ, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে। বাকি সারা বছর বাংলা ভাষার জন্য ক’জন বাঙালির সত্যিই প্রাণ কাঁদে?

Language Day: তেলেগু-তামিলের মতো বিশেষ ভাষার স্বীকৃতি পাক বাংলাও, কেন্দ্রের কাছে আর্জি রাজ্যের
করোনা অতিমারীর সময় পার। তাই, আজও বাংলা গান, গল্পে, কবিতায় মেতে উঠবে বাঙালি। বেরোবে প্রভাত ফেরি। বিকেলে দেশপ্রিয় পার্কে ভাষা শহিদ স্মারকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Nandini Chakravorty IAS : রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদ থেকে নন্দিনীর বদলি পর্যটনে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
সেখানে মিলিত হবেন শিল্পী-বুদ্ধিজীবীরা। কোথাও আবার পাত পেড়ে খাওয়ানো হবে পান্তাভাত, আলুচোখা ও শুঁটকি মাছ। বাঙালিয়ানার চিহ্ন হিসেবে। অথচ এই রাজ্যে সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের উদ্যোগ আজও বিশ বাঁও জলে।

Lakshmir Bhandar: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এ লক্ষ্মীলাভ! ৬০ পেরোলেই মাসে হাজার টাকা মমতা সরকারের
১৯৬৫ সালের ২৬ জানুয়ারি রাজ্যের সর্বত্র বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। কেবল দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পংকে এর বাইরে রাখা হয়েছিল। প্রশাসনিক কাজে বাংলা ভাষার ব্যবহার ত্বরাণ্বিত করতে ২০০৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মহাকরণ থেকে আরও একটি নির্দেশিকা বেরোয়। তাতে বলা হয়েছিল- সমস্ত সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বশাসিত সংস্থার অফিসে সাইনবোর্ড ও নামের ফলক বাংলায় লেখার ব্যবস্থা করতে হবে।

Raj Bhavan : নিউটনের তৃতীয় সূত্রে সুর বদলের ইঙ্গিত তৃণমূলের?
লেডারহেড, ভিজি়টিং কার্ড ছাপতে হবে বাংলায়। যে সব সরকারি দপ্তরের কাজকর্ম সরাসরি আমজনতার সঙ্গে যুক্ত, সেই সব দপ্তরে বিজ্ঞপ্তি ও আদেশনামা যতটা সম্ভব বাংলাতেই লিখতে হবে অফিসারদের। রেশন কার্ড, সরকারি বাসের টিকিট, হাসপাতালের টিকিটও বাংলায় ছাপতে হবে, সরকারি নথিতে মন্তব্য লিখতে হবে বাংলায়- এমনটা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল।

Nabanna On DA Strike: DA-র দাবিতে কর্মবিরতিতে অংশ নিলেই শোকজ, কড়া সিদ্ধান্ত নবান্নের
কিন্তু সেই নির্দেশিকা কার্যকর হয়নি। অধিকাংশ অফিসার ইংরেজিতেই নোট দেন। ব্লক, পঞ্চায়েত স্তরেও ইংরেজিতেই আদেশনামা জারি করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই সে সব বোধগম্য হয় না সাধারণ মানুষের। বাংলা পক্ষ-র সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘বাংলাই একমাত্র রাজ্য, যেখানে চাকরি পেতে গেলে বাংলা ভাষা জানা বাধ্যতামূলক নয়।

Kunal Ghosh : ‘… প্রয়োজনে ভাষা ও মেজাজ বদলাবে’, বিতর্কে আবহেই রাজ্যপাল নিয়ে ভিন্ন সুর কুণালের
এখানে শাসক-বিরোধী সবাই বহিরাগত তোষণে ব্যস্ত। তাই, সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্রাত্য।’ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশনের প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘নিচু তলায় বহু সরকারি কর্মচারী ইংরেজি ভালো বোঝেন না। তাতে অনেক সময়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়। অন্যান্য রাজ্যে যদি স্থানীয় ভাষায় সরকারি কাজ হতে পারে, তা হলে এখানে হবে না কেন?’

Rabindranath Tagore : পেরেকবিদ্ধ গীতাঞ্জলি, রবীন্দ্রনাথের মুখে টেপ! প্রতিবাদের ঝড় ওপার বাংলায়
পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ির মতে, ‘সরকারি কাজে বাংলা ভাষার ব্যবহার হলে প্রশাসনের উপরের দিকে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা ঠিকমতো বুঝতে পারবেন না। তার কারণ, এখন বাংলার অধিকাংশ আইএএস-আইপিএস অফিসার ভিন রাজ্যের বাসিন্দা।’

Malda Bus : বেসরকারি বাসেও নীল-সাদা রং, চরম বিভ্রান্তির মুখে গৌড়বঙ্গের যাত্রীরা
তবে নবান্নের এক শীর্ষকর্তা জানাচ্ছেন, এখন বহু সরকারি দপ্তরেই বাংলা ভাষার ব্যবহার হচ্ছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ভোটার তালিকা সংশোধনের ফর্ম বাংলাতেও ছাপানো হয়। রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার তাপস চৌধুরীর ব্যাখ্যা, ‘ভারতে যত আইন আছে, সেগুলো প্রায় সবই বিদেশি ভাষায় লেখা। সেগুলোর বাংলা করা মুশকিল।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *