তারপর এই দিন বিকেলে রঘুনাথপুর থানা থেকে ছেলেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় পুরুলিয়া সদর থানায়। তারপর চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে বাচ্চাটিকে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিন ছেলেকে ফিরে পেয়ে যারপরনাই খুশি তার বাবা হরিপদ গোপ।
এদিন তিনি বলেন, “ছেলের কাছ থেকে জানতে পারলাম সে বাসে চেপে রঘুনাথপুর শহরে আসে। এবং সেখান থেকে আলপথ ধরে নতুনডি গ্রামে একটি মন্দিরে রাত্রি যাপন করে। পরে সোমবার সকালে স্থানীয়রা ছেলেটিকে চিনতে পেরে আমাদের জানান। সে কিভাবে এখানে চলে এসেছে তার কিছুই সে বুঝে উঠতে পারেনি বলে আমাদের বলেছে”।
তবে স্কুলের হস্টেলে পেয়াঁজ রসুন খেতে তার ভালো লাগছিল না বলেই সে চলে যায় বলে দাবি করেছে ওই বাচ্চাটি। তার সঙ্গে থাকা গীতা হাতে নিয়েই সে ভোরবেলায় স্কুল থেকে বের হয়ে পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে চেপে রঘুনাথপুর চলে যায় বলে জানিয়েছে নিজের বাবাকে। পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি হোটেলের CCTV ফুটেজ দেখে পুলিশও জানতে পারে যে ছেলেটি বাস স্ট্যান্ডের দিকে রওনা দিয়েছে।
তারপরেই পুরুলিয়া সদর থানা থেকে রঘুনাথপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপর রঘুনাথপুর থানাও (Raghunathpur Police Station) জানতে পারে ছাত্রটির বর্তমান উপস্থিতির ব্যাপারে। তারপর রঘুনাথপুর থানার পুলিশ নতুনডি গ্রামে গিয়ে ছাত্রটিকে উদ্ধার করে। পুরুলিয়া (Purulia) জেলার নিতুড়িয়া থানা এলাকার মালঞ্চা গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্ত গোপ।
ছাত্রটির বাবা হরিপদ গোপ জানান, গত শনিবার রাতেও বিদ্যালয়ের একজনের ফোন থেকে তিনি ছেলের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরেই হঠাৎ রবিবার সকাল থেকে ছাত্রটি হস্টেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। এদিকে, পুরুলিয়া শহরে ঢোকার মুখে বাসস্ট্যান্ডের নিকট অবস্থিত এই বিদ্যালয়ের ছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় বিদ্যালয়ের নিরপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।