আটক করা হয়েছে ৬ টি বালি বোঝাই ট্রাক্টর। তবে পুলিশের হাত থেকে বেরিয়ে যায় ট্রাক্টর চালক, খালাসিরা। বালি পাচারের উদ্দেশ্যে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং পাচার চক্রের সঙ্গে কারা যুক্ত সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন।
বীরভূম জেলা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে রমরমিয়ে চলছিল বালি পাচার। দীর্ঘদিন ধরেই বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ জমা পড়ছিল পুলিশের কাছে। অবশেষে ৬টি অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করল বীরভূম জেলার দুবরাজপুর থানার পুলিশ।
রবিবার ও সোমবার রাতে পানাগড় দুবরাজপুর রাজ্য সড়কে তরুলিয়া মোড়ের কাছে ৬টি ট্রাক্টর আটক করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। ৬টি ট্র্যাক্টরের চালক পলাতক। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কোনও বৈধ নথি ছাড়াই ওই ট্র্যাক্টরগুলোতে বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
উল্লেখ্য, এর আগেও অবৈধভাবে বালি বোঝাই বহু লরি ও ট্রাক্টর আটক করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। অবৈধভাবে বালি পাচার রুখতে নেমে পড়েছে বীরভূম জেলা পুলিশ। বেশ কিছুদিন থেকে দুবরাজপুরের বিভিন্ন জায়গার নদী সহ অজয় নদী থেকে অবৈধভাবে বালি মাফিয়ারা বালি চুরি করে পাচার করছিল বলে অভিযোগ।
জানুয়ারি মাসেই নদীর বুক থেকে বালি পাচার রুখতে বীরভূম জেলা প্রশাসন ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালায়। বালি পাচার রুখতে ড্রোন উড়িয়ে চলে নদীর তীরবর্তী অংশে নজরদারি। বীরভূমের ময়ূরাক্ষী নদীর তিলপাড়া ও খটঙ্গা বালিঘাটে অভিযান চালায় সিউড়ি থানার পুলিশ।
কোথাও বেআইনিভাবে বালি তোলা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হয় পুলিশের তরফে। বীরভূম জেলায় কয়লা বা গোরু পাচারের পাশাপাশি বালি পাচার নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে একাধিক উদাহরণ উঠে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের নির্দেশ তোয়াক্কা না করেই বালি পাচার চালিয়ে যাচ্ছে বালি মাফিয়ারা।
পাচার রুখতে মাঝেমধ্যেই অভিযানে নামতে হচ্ছে জেলা পুলিশকে। অনেক জায়গা আবার বালি পাচার রুখতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের। তবে আগামী দিনে এরকম অভিযান চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে বীরভূম পুলিশ।