মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের জন্য শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার ১২ টি স্কুলের ১০৪০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে আসা হয়। শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলে পড়ুয়াদের একত্রিত করে সেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুল থেকে স্টেডিয়ামে আসার আগে মধ্যাহ্নভোজের জন্য পড়ুয়াদের স্কুলে প্রশাসনের তরফে বিরিয়ানি দেওয়া হয়। সেই বিরিয়ানি নিয়েই অভিযোগ উঠেছে।
প্রশাসনের তরফে দেওয়া বিরিয়ানি পচা ছিল বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। জানা গিয়েছে, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের তরফে সেই বিরিয়ানি বিলি করা হচ্ছিল। এদিন স্কুল পড়ুয়াদের পাশাপাশি সেখানে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও ছিলেন।
খাবারের গুণগত মান নিয়ে প্রথম স্কুল শিক্ষকরা প্রতিবাদ করেন। এরপরই প্রশাসনের তরফে বিরিয়ানি বিলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেসব স্কুল পড়ুয়ারা এদিন বিরিয়ানি পেয়েছিল, তারা কেউ সেই খাবার মুখে তুলতে পারেনি। বিরিয়ানি থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পড়ুয়ারা। এরপরই সেই বিরিয়ানি ফেলে দেওয়া হয়।
শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, “পড়ুয়াদের খারাপ বিরিয়ানি দেওয়া হয়েছিল। গন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যাঁরা বিলি করছিল তাঁদের ঘটনার কথা জানানোর পরই বিলি করা বন্ধ করা হয়। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের তরফে বিরিয়ানি দেওয়া হচ্ছিল।”
খাবারের গুণগত মান নিয়ে স্কুল পড়ুয়ারও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন বিরিয়ানি মুখে দেওয়ার যোগ্যও ছিল না। প্যাকেট খুলতেই পচা গন্ধ বের হচ্ছিল। এমন খাবার কেন দেওয়া হল, সেই নিয়েও তাঁরা ক্ষুব্ধ।
শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের পড়ুয়া শিবম ঘোষ বলেন, “বিরিয়ানি থেকে খুব গন্ধ বের হচ্ছিল। একদমই খাওয়ার মতো ছিল না বলে সবাই ফেলে দিয়েছে।” শুভাশিস বিশ্বাস নামে দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া বলে, “দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে বিরিয়ানি পেয়েছিলাম। প্রথম দিকে দেওয়া প্যাকেটগুলি ভালো থাকলেও পরে দিকে খুব খারাপ মানের বিরিয়ানি দেওয়া হয়েছে। খাওয়ার উপযুক্ত নয়, গন্ধ বের হচ্ছিল।”
অন্যদিকে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে ভাষা দিবসে অনুষ্ঠানে এদিন যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি বলেন, “এখন অনেকে বাংলা জানলেও বলে না। অন্য ভাষা শিখুন আমার কোনও আপাত্তি নেই। কিন্তু বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে অন্তত বাংলায় কথা বলুন।”