গৃহবধূর নাম অঙ্কিতা মাইতি। তাদের বাড়ি খড়গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত রগরা বসন্তপুর এলাকায়। তিনি জানান, প্রায় গত দেড় আগে তাঁর বিয়ে হয়। তখনও সে রোগা ছিল। কিন্তু, রোগা হওয়া নিয়ে বিয়ের পর থেকেই মাঝে মধ্যেই অশান্তি করত স্বামী। শেষে অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তার পর থেকে আর শ্বশুর বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না। আজকে এসে শ্বশুরকে প্রণাম করতে গেলে পা সরিয়ে নেন। অন্যদিকে শাশুড়ি কথা বলেননি বলে অভিযোগ। তবে শ্বশুর জানিয়ে দেয়, ”বাড়িতে এখন ছেলে নেই। ছেলে বাড়ি এলে ঠিক করবে। তাই বাড়িতে ঢোকা যাবে না এখন।”
অন্যদিকে, মেয়েটির বাবা দেবাশীষ মাইতির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর শারীরিক, মানসিক অত্যাচার করত শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। মাঝে মধ্যেই টাকা চেয়ে পাঠাত, সামর্থ্য অনুযায়ী দিতাম। তবে ১০ লাখ টাকা চাওয়ায় তা দিতে অপারগ থাকায় মেয়ের উপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। তাকে বাড়ি নিয়ে আসার পর থেকে আর ঢুকতে দেয়নি।
মেয়েটির বাবার অভিযোগ, পুলিশকে জানানো সত্বেও কোন সুরাহা হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত নেতৃত্বকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু, সুরাহা না হওয়ায় মেয়ে বাধ্য হয়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরতে চেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। মেয়েকে তাঁর মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে তাঁর সঙ্গে এসেছেন বাকিরা।